
গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া তীব্র ইসরায়েলি বিমান বোমা হামলা থেকে বাঁচতে প্রায় ৩০০০ মানুষ গাজা শহরের আল-আহলি আরব হাসপাতালে আশ্রয় নিয়েছিল।

ইসরায়েলি রকেট হামলাটি হয় হাসপাতাল কমপ্লেক্সকে লক্ষ্য করে, যেখানে অনেক বেসামরিক লোক আশ্রয় নিয়েছিল।

হাসপাতালের হামলার পরেও গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের তীব্র বোমাবর্ষণ থামেনি, এর ফলে ফিলিস্তিনিরা গভীরতর মানবিক সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে। অবরুদ্ধ ছিটমহলে এখনো সাহায্যের অনুমতি দেয়নি ইসরায়েল।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে হাসপাতালে রকেট হামলার শিকার বেশিরভাগ মহিলা এবং শিশু। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।

তবে, ইসরায়েল হাসপাতালটিতে হামলার জন্য পাল্টা হামাসকে দায়ী করছে। যদিও হামাস এটা অস্বীকার করেছে।

গাজা শহরের আল-আহলি আরব হাসপাতাল ১৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মানুষকে সেবা প্রদান করছে।

অন্য আরও ২০টি হাসপাতালের পাশাপশি এই আল-আহলি আরব হাসপাতালটিও অন্যত্র সরিয়ে নিতে এর আগে ইসরায়েল সরকারের সামরিক হুকুম ছিল। কিন্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, চলমান এই শোচনীয় অবস্থায় হাসপাতালটি অন্যত্র সরিয়ে নেয়া তাদের জন্য সম্ভবপর ছিল না।

আল-আহলি আরব হাসপাতাল থেকে শতাধিক আহত ও মৃতকে গাজা শহরের প্রধান আল-শিফা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে, যা ইতোমধ্যেই অন্যান্য ইসরায়েলি হামলায় আহতদের দ্বারা পরিপূর্ণ।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আল-শিফা হাসপাতালে এমন অনেক রোগী আছেন যাদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ছিঁড়ে গেছে।

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ১২ দিনের যুদ্ধ অভ্যন্তরীণভাবে আনুমানিক দশ লাখ ফিলিস্তিনিকে বাস্তুচ্যুত করেছে, যারা বলে যে যাওয়ার জন্য কোনও নিরাপদ জায়গা নেই।
হামাস অভিযানের পর থেকেই আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকাজুড়ে নির্বিচারে চালানো হচ্ছে বিমান, রকেট এবং বোমা হামলা। ধ্বংস হচ্ছে বাড়িঘর, ভবন এবং মানুষের সহায়-সম্বল। নারী-শিশুসহ নিহত হচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। মৃত্যুযন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে প্রতিদিন হাসপাতালে ছুটছে শত শত বাসিন্দা। যুদ্ধ আইন বিশ্বমানবতাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সেখানেও হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। গত মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) রাতে ইসরাইল বাহিনীর এমনই এক বর্বর হামলার শিকার হয় গাজার আল আহলি আরব হাসপাতাল। ধ্বংস হয়ে যাওয়া হাসপাতালটির বর্তমান অবস্থার চিত্র ফুটে উঠেছে আল জাজিরার ক্যামেরায়। তারই এক ঝলক-