
বাঁশ, বেত, কাঠ ও রঙিন কাগজের তৈরি বাহারি কল্পজাহাজ ভাসানো হয় উৎসবমুখর পরিবেশে। তাতে অংশ নিতে ও উৎসব দেখতে জমে ভিড়।

রামুর পূর্ব রাজারকুল, হাজারীকুল, হাইটুপী রাখাইন পাড়া, হাইটুপী বড়ুয়াপাড়া, দ্বীপ-শ্রীকুল, জাদিপাড়া ও মেরংলোয়া গ্রাম থেকে মোট আটটি কল্প জাহাজ নদীতে ভাসানো হয়েছে। সাত-আটটি নৌকার ওপর বসানো হয়েছে এক-একটি কল্প জাহাজ।

আকর্ষণীয় নির্মাণ শৈলীর কারণে খুব সহজেই এসব কল্প জাহাজ মানুষের দৃষ্টি কাড়ে। প্রতিটি জাহাজেই আছে একাধিক মাইক। ঢোল, কাঁসর, মন্দিরাসহ নানা বাদ্যের তালে জাহাজের উপরে শিশু কিশোর ও যুবকেরা নেচে গেয়ে মেতেছে অন্যরকম আনন্দে।

জাহাজ নিয়ে ভেসে এপার থেকে ওপারে যেতে যেতে মাইকে চলে বৌদ্ধ কীর্তন-নাচসহ নানা আনন্দায়োজন।

রামু ছাড়াও কয়েক বছর ধরে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত, চৌফলদন্ডি ও চকরিয়ার মাতামুহুরী নদীতে জাহাজ ভাসা উৎসব পালিত হয়ে আসছে। অর্ধশতাব্দীকাল ধরে রামুতে এ উৎসবের আয়োজন করা হলেও ২০১২ ও ১৩ সালে এ উৎসব উদযাপন করা হয়নি। রামু বৌদ্ধ পল্লীতে হামলার ঘটনায় ওই দুই বছর এ উৎসব উদযাপন হয়নি। দু’বছর পর আবারো প্রতি বছর থেকে সাড়ম্বরে এ উৎসব পালিত হয়ে আসছে।
কক্সবাজারের রামু বাঁকখালী নদীতে সম্প্রীতির কল্পজাহাজ ভাসা উৎসবে মেতেছে হাজারো মানুষ। উৎসব উপভোগ করতে আসা বেশিরভাগই বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী এবং অন্যরা দর্শনার্থী। নানা বাদ্য বাজিয়ে নাচ-গানে ব্যস্ত শিশু-কিশোর ও যুবারা। বাঁকখালী নদীতে ৮টি সজ্জিত জাহাজ ভাসিয়ে উৎসব করছেন তারা। প্রবারণা পূর্ণিমায় ফানুস ওড়ানোর পর রীতি অনুযায়ী নদীতে কল্পজাহাজ ভাসায় বৌদ্ধরা। রামুর বাঁকখালী নদীতে রবিবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে চলে এই উৎসব। এ নিয়ে দেখুন আজকের ছবিঘর...