Logo
×

Follow Us

ছবিঘর

আলোকচিত্রীর ক্যামেরায় মুক্তিযুদ্ধ

Icon

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ৩০ মার্চ ২০২১, ১৪:৪৯

আলোকচিত্রীর ক্যামেরায় মুক্তিযুদ্ধ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণের পর থেকেই উত্তপ্ত হতে থাকে কুষ্টিয়া। ২৩ মার্চ ইসলামিয়া কলেজ মাঠে যুদ্ধের প্রস্তুতিতে শোডাউন করেন ছাত্র-মজুর-জনতা। ২৫ মার্চ কুষ্টিয়া হাইস্কুল মাঠে হয় আরেকটি সমাবেশ। ছবিটি সেই সমাবেশের।

আলোকচিত্রীর ক্যামেরায় মুক্তিযুদ্ধ

কুষ্টিয়া হাইস্কুল মাঠের সেদিনের সমাবেশে ছাত্র নেতারা স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন গোলাম কিবরিয়া, আব্দুর রউফ চৌধুরী, নূরে আলম জিকো প্রমুখ। সেই আন্দোলনে হামিদ রায়হান নিজে শুধু যুক্তই থাকেননি ক্যামেরায় ছবিও তুলে রেখেছেন।

আলোকচিত্রীর ক্যামেরায় মুক্তিযুদ্ধ

প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা তখন বিভিন্ন জায়গায় অপারেশন শুরু করেছেন। পুরোদমে চলছে যুদ্ধ। বাংলাদেশ ভলান্টিয়ার সার্ভিস কোর কাজ করছিল বিভিন্ন শরণার্থী ক্যাম্পে। ১৫ সেপ্টেম্বর ভলান্টিয়ার সার্ভিস কোরের ফটোগ্রাফার হিসেবে যোগ দেন হামিদ রায়হান। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলার শিকারপুর ট্রেনিং ক্যাম্পে মুক্তিযোদ্ধাদের অনুশীলনের এই ছবিটি তিনি তুলেছেন ২০ নভেম্বরে।

আলোকচিত্রীর ক্যামেরায় মুক্তিযুদ্ধ

এই ছবিটি তোলা হয়েছে ১৯৭১ সালের ১১ ডিসেম্বর। যশোরের পিকনিক কর্নারের পাকিম্তানি বাহিনীর ফেলে যাওয়া তাজা রকেট বোমার পাশে দাঁড়িয়ে আছে দুই শিশু।

আলোকচিত্রীর ক্যামেরায় মুক্তিযুদ্ধ

চার রাজাকারকে আটক করেছেন মুক্তিযোদ্ধারা। একজন মুক্তিযোদ্ধার হাতে একটি পোস্টার দেখা যাচ্ছে যাতে লেখা, ‘রক্তের ঋণ রক্তে শুধবো, দেশকে এবার মুক্ত করবো।’ ছবিটি কুষ্টিয়া থেকে তোলা হয়েছিলো।

আলোকচিত্রীর ক্যামেরায় মুক্তিযুদ্ধ

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্প পরিদর্শনে আসেন তৎকালীন অস্থায়ী সরকারের স্বরাষ্ট্র, কৃষি এবং ত্রাণ ও পুনর্বাসনমন্ত্রী এ এইচ এম কামরুজ্জামান। তার সাথে ছিলেন মেজর জলিল, ব্যারিস্টার আমীর-উল-ইসলাম, মেজর হায়দার প্রমুখ। আবদুল হামিদ রায়হান এই ছবিটি তুলেন ২ ডিসেম্বর।

আলোকচিত্রীর ক্যামেরায় মুক্তিযুদ্ধ

ভারতে শরণার্থী ক্যাম্পগুলোতে স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়োগ দিতো বাংলাদেশ ভলান্টিয়ার সার্ভিস কোর। ক্যাম্পগুলোতে স্কুল চালানো, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সেবা দিতেন তারা। ক্যাম্পের তরুণদের সংগঠিত করে বিভিন্ন কাজে যুক্ত রাখতেন স্বেচ্ছাসেবীরা। ছবিতে ভলান্টিয়ার সার্ভিস কোরের সাথে যুক্তদের একাংশকে দেখা যাচ্ছে।

আলোকচিত্রীর ক্যামেরায় মুক্তিযুদ্ধ

১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় ভারত। সেদিন কলকাতায় মিছিল বের করেন বাংলাদেশিরা৷ একটি মিছিলে প্ল্যাকার্ড হাতে ট্রাকের ওপর দাঁড়িয়ে আছেন কবি নির্মলেন্দু গুণ।

আলোকচিত্রীর ক্যামেরায় মুক্তিযুদ্ধ

আলোকচিত্রী আবদুল হামিদ রায়হান।

১৯৭১ সালে ভলান্টিয়ার সার্ভিস কোরের ফটোগ্রাফার হিসেবে শরণার্থী শিবির ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ শিবিরের প্রায় সাড়ে ৫০০ ছবি তুলেছেন আলোকচিত্রী আবদুল হামিদ রায়হান। 

তার ক্যামেরা দিয়ে সংগ্রহ করেছেন মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক সচিত্র দলিল। শরণার্থী ক্যাম্প ও সীমান্ত এলাকার বিভিন্ন অ্যাকশন ক্যাম্পে প্রায় সাড়ে ৫০০ ছবি তোলেন তিনি। সেগুলো ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সংস্থায় পাঠানো হতো। ছবি দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে বিশ্বজনমত গড়ে তোলায় ভূমিকা রাখেন এই আলোকচিত্রী মুক্তিযোদ্ধা।

ছবিঘরে তার তোলা কয়েকটি ছবি। তথ্য ও ছবি ডয়চে ভেলে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫