
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১২টা ২৬ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি চিত্রগ্রাহক মাহফুজুর রহমান খান।

মাহফুজুর রহমানের মরদেহ এফডিসিতে নিয়ে আসার পর পরই হৃদয়বিদারক অবস্থার তৈরী হয়। তার চিত্রগ্রহণে বহু ছবিতে কাজ করেছেন এমন তারকারা স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েন।

পেশাদার চিত্রগ্রাহক হিসেবে দশবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া মাহফুজুর রহমান খান ১৯৭২ সালে প্রথম চলচ্চিত্রে কাজ করেন।

এফডিসিতে মাহফুজুর রহমান খানের জানাজার একাংশ।
কিংবদন্তি চিত্রগ্রাহক মাহফুজুর রহমান খানের মৃত্যুতে শোকার্ত বাংলার চলচ্চিত্রাঙ্গন। শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর দুপুর আড়াইটার দিকে শেষবারের মতো এফডিসিতে নিয়ে আসা হয় মাহফুজুর রহমান খানের মরদেহ। তাকে শেষ বারের মতো বিদায় জানাতে এফডিসিতে জড়ো হন চলচ্চিত্রের নবীন-প্রবীণ শিল্পী ও কলাকুশলীরা।
পেশাদার চিত্রগ্রাহক হিসেবে দশবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া মাহফুজুর রহমান খান ১৯৭২ সালে প্রথম চলচ্চিত্রে কাজ করেন। তিনি আলমগীর কবির, আলমগীর কুমকুম, হুমায়ূন আহমেদ, শিবলি সাদিকদের মতো কিংবদন্তি চলচ্চিত্র পরিচালকদের সাথে কাজ করেন। বিশেষ করে হুমায়ূন আহমেদ পরিচালিত প্রায় সব চলচ্চিত্রের চিত্রগ্রাহক ছিলেন।
তার চিত্রগ্রহণ ছবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য- আমার জন্মভূমি, অভিযান, মহানায়ক, চাঁপা ডাঙ্গার বউ, ঢাকা ৮৬, অন্তরে অন্তরে, পোকা মাকড়ের ঘর বসতি, আনন্দ অশ্রু, শ্রাবণ মেঘের দিন, দুই দুয়ারী, চন্দ্রকথা, নন্দিত নরকে, হাজার বছর ধরে, বৃত্তের বাইরে, ঘেটুপুত্র কমলা।