
আফ্রিকা মহাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে দীর্ঘমেয়াদি খরার কারণে এই জলপ্রপাতের পানির পরিমাণ আশঙ্কাজনভাবে কমে গেছে। ছবি: রয়টার্স

ছবিটি চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারিতে তোলা। তখন জলপ্রপাতটি পূর্ণরূপেই ছিল। ছবি: রয়টার্স

শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়াবহ এই খরার কারণে আশঙ্কা করা হচ্ছে, জলবায়ু পরিবর্তনে এই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় এই পর্যটন আকর্ষণ নষ্ট হয়ে যাবে। ছবি: রয়টার্স

জাম্বেজি নদীর অববাহিকা আগামী বছরগুলোতে আরো শুকিয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই অববাহিকায় সর্বশেষ তিন বছর আগে খরা দেখা দিয়েছিল। ছবি: রয়টার্স

জাম্বেজি নদীর শুকনো অংশটি ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাতের জাম্বিয়ান অংশের। ছবি: রয়টার্স

খরায় নদীটি উত্তপ্ত হয়ে উঠার সঙ্গে সঙ্গে প্রতি সেকেন্ডে ৪৩৭ মিলিয়ন ঘনমিটার জল বাষ্পীভূত হয়ে যায়। ছবি: রয়টার্স
পৃথিবীর প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্যের মধ্যে অন্যতম একটি ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত। আফ্রিকা মহাদেশের দুটি দেশ জাম্বিয়া ও জিম্বাবুয়ের সীমানায় অবস্থিত এই জলপ্রপাত পৃথিবীর দীর্ঘতম জলপ্রপাত।
এই দুই দেশের সীমান্তবর্তী যৌথ নদী জাম্বেজি থেকেই এই জলপ্রপাতের উৎপত্তি। এর উচ্চতা ১০৮ মিটার ও চওড়ায় ১,৭০৩ মিটার। প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৯৩৫ ঘনমিটার পানি পতিত হয় এই জলপ্রপাত থেকে।
পানি পড়ার সময় প্রচণ্ড আওয়াজ সৃষ্টি করে বলে স্থানীয় ভাষায় এর নাম ‘মোজি-ওয়া-তুনিয়া’। এর অর্থ ‘বজে র ধোয়া’। ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত থেকে জল পড়ার সময় জলীয়বাষ্পের মেঘ তৈরি হয় যা প্রায় ৪০০ মিটার উচ্চতায় ভাসতে থাকে এবং প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূর থেকেও দেখা যায়।
অনিন্দ্য সুন্দর এই প্রাকৃতিক নিদর্শনের অন্যতম আকর্ষণীয় দৃশ্য এখানকার জলীয়বাষ্পে আলো পড়ে রংধনুর সৃষ্টি হওয়া।
ব্রিটিশ অভিযাত্রী ডেভিড লিভিংস্টোন ১৮৫৫ সালে এই জলপ্রপাত দেখে এর নামকরণ করেন রাণী ভিক্টোরিয়ার নামে। সেই থেকে এটি ভিক্টোরিয়া ফলস নামে পরিচিত।
ছবিগুলো চলতি বছরের ৪ ও ৫ ডিসেম্বর তোলা।