যশোর শহর থেকে প্রায় পঁচিশ কিলোমিটার দূরের এ ইউনিয়ন বিখ্যাত হয়েছে ফুল চাষের কারণে। ইউনিয়নের পানিসারা, হাড়িয়া, কৃষ্ণচন্দ্রপুর, পটুয়াপাড়া, সৈয়দপাড়া, মাটিকুমড়া, বাইসা, কাউরা, ফুলিয়া ইত্যাদি গ্রামের প্রতি ইঞ্চি জমি চাষিরা কাজে লাগিয়েছেন ফুল চাষে।
নানান জাতের দেশি-বিদেশি ফুলের চাষ জয় গদখালিতে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো রজনীগন্ধা, গোলাপ, গাঁদা, গ্লাডিওলাস, জারবেরা, রথস্টিক, জিপসি, গ্যালেনডোলা, চন্দ্রমল্লিকা ইত্যাদি।
সারা বছর ফুল উৎপাদন ও বিক্রি হলেও গদখালির চাষিরা বসন্তবরণ, ভালোবাসা দিবস, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, পহেলা বৈশাখের দিকে তাকিয়ে থাকেন। এ দিনগুলোতেই সবচেয়ে বেশি ফুল বিক্রি ও দামও ভালো পাওয়ার কারণে এ সময়কে লক্ষ্য করে চাষিরা বেশি ফুল উৎপাদন করেন।
গদখালিতে উৎপাদিত নানা ধরনের ফুল বিদেশে রপ্তানিও হয়।
বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির তথ্য মতে, গদখালি এলাকার হাজার হাজার একর জমিতে বছর জুড়ে উৎপাদিত নানা জাতের দেশি-বিদেশি ফুলের বার্ষিক বাজার মূল্য প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা।
ফুল চাষিরা জানান, দেশের সবচেয়ে বেশি ফুলের চাষ গদখালিতে হলেও সেখানে ফুল ও ফুলবীজ সংরক্ষণের জন্য বিশেষায়িত কোনো হিমাগার নেই। হঠাৎ কোনো ফুলের ফলন বেশি হয়ে গেলে দাম অনেক কমে যায়। এ নিয়ে চাষিদের খুবই সমস্যায় পড়তে হয়।
যশোর জেলার ঝিকরগাছার গদখালী এলাকা ফুল চাষের জন্য বিখ্যাত। সেখানের কয়েকটি গ্রামে হাজার হাজার একর জমিতে বছর জুড়ে উৎপাদন হচ্ছে দেশি-বিদেশি নানা জাতের ফুল। এখানকার ফুল সারাদেশ তো বটেই, যাচ্ছে বিদেশেও। প্রতিদিনই এই গদখালী ও আশপাশের এলাকায় ফুলের রাজ্য দেখতে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসেন অসংখ্য নারী পুরুষ। -স্টার মেইল
