সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে উদ্বোধন করা হলো ‘মিউজিয়াম অব দ্য ফিউচার’ অর্থাৎ ভবিষ্যতের জাদুঘর।ভবনটি দেখে মুগ্ধ সবাই। অনেকের ভাষ্যমতে পৃথিবীর অন্যতম সেরা স্থাপনা এই জাদুঘর। নির্মাণকাজে বরাবরই সারা বিশ্বকে চমকে দিয়েছে দুবাই। এই জাদুঘর তারই ধারাবাহিকতা।
জাদুঘরটি উপবৃত্তাকার। সাত তলার ভবন সেজে উঠেছে রূপালী রঙে। পৃথিবীর উচ্চতম স্থাপনা বুর্জ খলিফার কাছেই এই মিউজিয়ামটি।
এই জাদুঘর উদ্বোধন করেন দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম। রোদের সোনালি আভা গায়ে মেখে মিউজিয়ামটিকে তখন মনে হচ্ছিল ‘স্বর্ণ সংগ্রহশালা’। চোখ ফেরানো যাচ্ছিল না স্থাপনাটির দিক থেকে।
মিউজিয়াম উদ্বোধনের আগে থেকেই এর ছবি তুলতে শুরু করেছিলেন উৎসাহীরা। জমকালো অনুষ্ঠান তখনও শুরু হয়নি, তার আগেই এক ব্যক্তি ক্যামেরাবন্দি করছিলেন ‘‘মিউজিয়াম অব দ্য ফিউচার’-এর ছবি। বিশাল উপবৃত্তাকার এই ভবনটিকে দুবাইয়ের স্থাপত্য, সেখানকার সংস্কৃতির প্রতীক হিসাবে কল্পনা করা হয়েছে।
৭৭ মিটার উঁচু এই ভবনটিতে ভবিষ্যতের প্রযুক্তির স্থায়ী প্রদর্শনী রয়েছে। গোটা নির্মাণে কোনো স্তম্ভ নেই। রোবটের মাধ্যমে বিশেষভাবে তৈরি করা হাজারেরও বেশি টুকরো দিয়ে এই ভবনটি তৈরি করা হয়েছে।
মিউজিয়ামের অন্দরে প্রবেশ করলে চোখ ধাঁধিয়ে যাবে। ‘ফিউচার হিরোজ’ নামে একটি বিভাগ রয়েছে, সেখানে। সৃষ্টির মাধ্যমে উত্তরাধিকার রেখে যাওয়ার ভাবনা থেকেই এই নির্মাণকাজটি তৈরি।
স্টেইনলেস স্টিলের তৈরি বাইরের কাঠামোটিতে আরবি ভাষায় ক্যালিগ্রাফি করা রয়েছে। সেখানে লেখা রয়েছে ‘‘ভবিষ্যৎ তাদের জন্য, যারা সেটি কল্পনা করে নকশা তৈরি করতে পারে এবং কাজটি সম্পন্ন করে।’’
প্রযুক্তিকে অন্যমাত্রায় নিয়ে গিয়েছে এই মিউজিয়াম। এই মিউজিয়ামে নিজের ভবিষ্যৎকে খুঁজে পাবেন দর্শকরা, এমনটাই মনে করা হচ্ছে। প্রযুক্তির হরেক রকমের উদ্ভাবনী শক্তির পরিচয় মিলবে এই জাদুঘরে। মহাকাশের থিম রয়েছে এই অংশে, আলোকচিত্রীর তোলা ছবিতেই তা স্পষ্ট। এটি হলো ‘ওএসএস হোপ এক্সপেরিমেন্টাল ডিসপ্লে’।
মিউজিয়ামের অন্যতম আকর্ষণ ‘ভল্ট অব লাইফ’। কলম্বিয়ার আমাজন অববাহিকার নিরক্ষীয় বনভূমির একটি প্রতিমূর্তি তৈরি করা হয়েছে এই অংশে।
গোটা ভবনজুড়ে আলোর ছটা, যেন মহাকাশ থেকে নীহারিকা নেমে এসেছে পৃথিবীর বুকে। আরব আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং দুবাইয়ের শাসকের উক্তিও রয়েছে এখানে।