ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ নিয়ে ছড়িয়ে পড়া ভুল ছবি ও ভিডিও

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৫:২৮

রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত শুরুর পরপরই একটি শহরের ওপর দিয়ে ফাইটার জেট উড়ে যাওয়ার একটি ভিডিওকে দাবি করা হচ্ছিল ইউক্রেনে রুশ বিমান অভিযানের ভিডিও হিসেবে। যাচাই করে দেখা যায়, বিমানটি আমেরিকা তৈরি এফ-১৬ ফাইটিং ফ্যালকন, যেটি রাশিয়া বা ইউক্রেন কোনো দেশের বিমানবাহিনী কখনো ব্যবহার করেনি।

আরেকটি ভিডিও ক্লিপে বেশ কয়েকটি ফাইটার ও বম্বার বিমানকে সংগঠিত হতে দেখা যায়। ঐ ভিডিওতে সাইরেনের আওয়াজ শোনা যাচ্ছিল। ওই ফুটেজটি ২০২০ সালের একটি মিলিটারি প্যারেডের। ভিডিওতে আসল অডিওর ওপর সাইরেনের আওয়াজ জুড়ে দেয়া হয়েছে।

আরেকটি ভিডিও ক্লিপে দাবি করা হয় খারকিভ শহরে রুশ প্যারাট্রুপাররা অবতরণ করছে। এই ভিডিওটি টুইটারে লাখ লাখ বার দেখা হয়েছে। তবে আসলে রুশ ভাষার ওই ভিডিওটি প্রথমবার ইন্টারনেটে আসে ২০১৬ সালে।

চতুর্থ একটি ভিডিও ক্লিপ টুইটার ও ইউটিউবে ব্যাপকভাবে শেয়ার হয়, যেটিতে দেখা যায় ইউক্রেনের ওপর একটি রুশ বিমানকে গুলি করে ভূপাতিত করা হচ্ছে। যাচাই করে দেখা যায়, ২০১১ সালে বেনগাজি শহরে বিদ্রোহীদের গুলিতে লিবিয়ার সরকারি বিমান ভূপাতিত হওয়ার দৃশ্য এটি।

অন্য একটি বিস্ফোরণের ফুটেজে দাবি করা হয় যে সেটি দক্ষিণ-পূর্ব ইউক্রেনের মারিউপোল শহরে সাধারণ মানুষের আবাসস্থলের ভিডিও। তবে ওই ভিডিওর একটি ভার্সন ২৯ জানুয়ারি টিকটকে আপলোড করা হয়।

সোশাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের অনেকে এমন একটি ছবি শেয়ার করছেন যেটিকে দাবি করা হচ্ছে ইউক্রেনের খারকিভ শহরে রাশিয়ান সেনাদের পতাকা উত্তোলনের ছবি। এই ছবিতে যে দাবি করা হচ্ছে, সেটি সঠিক - রুশ সেনারা খারকিভের একটি ভবনে রাশিয়ার পতাকা উত্তোলন করছেন। তবে ছবিটি তোলার সময়কাল ছিল ২০১৪ সালে, দুই দেশের মধ্যে অস্থিরতা তৈরি হওয়ার শুরুর দিকে।

আর চীনা ভাষার একটি টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে ‘মহান পুতিন ইউক্রেনে হামলা করেছেন’ ক্যাপশনে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়, যেটিকে সহজেই ২০২০ সালে বৈরুত বন্দরে বিস্ফোরণের ভিডিও বলে শনাক্ত করা যায়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইউক্রেন-রাশিয়া সংকট নিয়ে ভুল, বিভ্রান্তিকর অনেক ভিডিও ও ছবি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। এর মধ্যে বেশ কিছু ভিডিও রয়েছে যেগুলো ইউক্রেন বা পৃথিবীর অন্য কোনো স্থানে হওয়া পুরনো যুদ্ধের ভিডিও।আবার অনেক ছবি বা ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়াচ্ছে যেগুলো সেনা সদস্যদের মহড়ার সময়কার ছবি। কিছু কিছু সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম, যেমন টুইটার, বিভ্রান্তিকর কন্টেন্ট যেন না ছড়ায় তা নিশ্চিত করতে সক্রিয় পদক্ষেপ নিচ্ছে। বিবিসি