
সেই স্বর্গের দরজা ঘিরে আজও রহস্য পাহাড় জুড়ে অদ্ভুত সব আকৃতি। কোনোটি দেখতে ঘরবাড়ির মতো। কোনোটিকে দেখে আবার মনে হয় মানুষের মূর্তি। তবে পাহাড়ের গায়ে খোদাই করা একটি গোলাপি দরজা ঘিরেই রয়েছে যাবতীয় রহস্য! রয়েছে নানা লোককথাও। পেরুর টিটিকাকা হ্রদের তীরে পাঁচশো বছরেরও বেশি পুরনো ওই দরজাই নাকি স্বর্গের পথ খুলে দেয়।

ল্যাটিন আমেরিকার দেশ পেরুর নানা প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছে ইনকা সভ্যতার নিদর্শন। সেগুলিকে ঘিরে গল্পকথাও কম নয়। মাচুপিচু, নাজকা লাইন্স, পাইসাক বা কাসকো— দুনিয়ার সব প্রান্ত থেকেই এ সব পর্যটনস্থলে ভিড় জমান মানুষজন। তবে অনেকের মতে, হায়ু মারকা পাহাড়ে আরামু মারুর দরজা ঘিরে যে রহস্য রয়েছে, তার কাছে নাকি পেরুর কোনও পর্যটনকেন্দ্র ধারেকাছে আসে না। এটিই ‘স্বর্গের দরজা’ বলে পরিচিত। সে দরজা পেরোলে নাকি অমরত্বের রাস্তায় হাঁটা যায়!

দক্ষিণ পেরুর পাহাড়ে ওই গোলাপি পাথরের দরজাটি ‘গেট অব দ্য গডস’ বলেও পরিচিত। অনেকে আবার এটিকে ‘পুয়ের্তা দি হায়ু মারু’ (হায়ু মারুর দরজা)-ও বলে চেনেন। পাঁচশো বছরের পুরনো ওই দরজা নিয়ে কৌতূহলের অন্ত নেই। ‘স্বর্গের দরজা’ ঘিরে ছড়িয়ে থাকা অজস্র গল্পকথাও কম আকর্ষণীয় নয়।

হায়ু মারুতে ওই পাথরটি উচ্চতা ২৩ ফুট। চওড়ায়ও একই মাপ। পাথরের নীচের দিকে রয়েছে একটি কুঠুরির মতো অংশ খোদাই করা। যেন ইংরেজি হরফের ‘টি’ আকৃতির একটি খাঁজ। তা ৬ ফুট ৬ ইঞ্চি উঁচু। একে ঘিরে ছড়িয়েছে রহস্য।

‘স্বর্গের দরজা’-র খোঁজ কীভাবে পাওয়া গেল, তা নিয়েও নানা গল্প রয়েছে। অনেকে বলেন, ১৯৯৬ সালে হোসে লুই দেলগাদো মামানি নামে এক ব্যক্তি এর খোঁজ পেয়েছিলেন। সে সময় গাইডের কাজ পেয়েছিলেন তিনি। ফলে সে কাজ শুরুর আগে পেরুর ওই এলাকাটি ঘুরে দেখতে যান। আচমকাই চোখে পড়ে, পাথরের গায়ের একটি অংশ দরজার মতো খোদাই করা। এর পর সংবাদমাধ্যমের কাছে অদ্ভুত দাবি করেছিলেন মামানি।