Logo
×

Follow Us

ছবিঘর

মরণ বাঁধ ফারাক্কা

Icon

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ১৬ মে ২০২২, ১৬:৩৪

মরণ বাঁধ ফারাক্কা

গঙ্গা নদীর বুকে দেওয়া ভারতের ফারাক্কা বাঁধের কারণে ভাটিতে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের প্রায় ২ কোটি মানুষ সেচের পানির অভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। দক্ষিণাঞ্চলের আরও প্রায় ৪ কোটি মানুষ ও এক-তৃতীয়াংশ এলাকা সেচের পানির অভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

মরণ বাঁধ ফারাক্কা

গঙ্গা-কপোতাক্ষ প্রকল্পের ৬৫ শতাংশ এলাকাতেও সেচ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। আরও নানামুখী ক্ষতি হচ্ছে বাংলাদেশের। আর্থিক হিসাবে বছরে এই ক্ষতির পরিমাণ প্রায় পাঁচ কোটি টাকা।

মরণ বাঁধ ফারাক্কা

ফাঁরাক্কা বাঁধের বিরূপ প্রভাবে বাংলাদেশের মাটির উর্বরা শক্তি কমে গেছে। দেশের প্রায় ২১ শতাংশ অগভীর নলকূপ ও ৪২ শতাংশ গভীর নলকূপ ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছে না। গঙ্গার পানি চুক্তির পর বাংলাদেশে গঙ্গার পানির অংশ দাঁড়িয়েছে সেকেন্ডে ২০ হাজার ঘনফুটের কম। অথচ ফারাক্কা বাঁধ চালুর আগে শুষ্ক মৌসুমেও বাংলাদেশ ৭০ হাজার কিউসেকের চেয়ে বেশি পানি পেত।

মরণ বাঁধ ফারাক্কা

ফাঁরাক্কা বাঁধের বিরূপ প্রভাবে বাংলাদেশের মাটির উর্বরা শক্তি কমে গেছে। দেশের প্রায় ২১ শতাংশ অগভীর নলকূপ ও ৪২ শতাংশ গভীর নলকূপ ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছে না। গঙ্গার পানি চুক্তির পর বাংলাদেশে গঙ্গার পানির অংশ দাঁড়িয়েছে সেকেন্ডে ২০ হাজার ঘনফুটের কম। অথচ ফারাক্কা বাঁধ চালুর আগে শুষ্ক মৌসুমেও বাংলাদেশ ৭০ হাজার কিউসেকের চেয়ে বেশি পানি পেত।

মরণ বাঁধ ফারাক্কা

পদ্মার উজানে ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণের প্রতিবাদে ১৯৭৬ সালের ১৬ মে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে মরণ বাঁধ ফারাক্কা অভিমুখে লাখো জনতার লংমার্চ অনুষ্ঠিত হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক চাপে ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তি করে; কিন্তু পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক সব আইন লঙ্ঘন করে ভারত একাই গঙ্গার পানি নিচ্ছে। এতে ভাটির দেশ বাংলাদেশের বিস্তির্ণ এলাকা মরুভূমিতে পরিণত হচ্ছে। ছবি : সংগৃহীত

১৯৭৬ সালের ১৬ মে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস উপলক্ষে মরণ বাঁধ ফারাক্কা অভিমুখে লাখো জনতার লং মার্চ অনুষ্ঠিত হয়। দীর্ঘ সময় পার হলেও ভারত-বাংলাদেশ পানি চুক্তি আজও আশার মুখ দেখেনি। ফল স্বরুপ পদ্মার বুকে এখানে সেখানে জেগে উঠা চর এবং ধুধু বালুকাময় মরুভূমি তার সাক্ষ্য বহন করে। ছবি: রাজশাহীর পবার হাডুপুর গ্রামের পদ্মা নদীর পাড় থেকে তোলা।


Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫