
দেশের বস্ত্রবয়নের ইতিহাস আর সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িয়ে থাকা জামদানি পল্লী এখন কর্মমুখর। ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে কর্মমুখর হয়ে উঠেছে দুশ’ বছরের পুরনো হাতে তৈরি ঐতিহ্য।

বিগত সময়ের লোকসান কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যাশায় রূপগঞ্জের জামদানি ব্যবসায়ী ও জামদানি তৈরির তাঁতীরা।

প্রাচীনকালের মিহি মসলিন কাপড়ের উত্তরাধিকারী হিসেবে ঢাকাই জামদানি নারীদের কাছে এক পরিচিত নাম। দুইশ’ বছরের পুরনো হাতে তৈরি এই ঐতিহ্য নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার নোয়াপাড়া গ্রামে তৈরি হয়। দেশ বিদেশে সমান জনপ্রিয় জামদানি শাড়ি ভালোবাসেন না এমন বাঙালি নারী খুঁজে পাওয়া যাবে না।

প্রাচীনকালে ঢাকাই মসলিনের উপর যে জ্যামিতিক নকশাদার বা বুটিদার বস্ত্র বোনা হতো তারই নাম জামদানি।কালের বিবর্তনে মসলিন শাড়ি হারিয়ে গেলেও রূপগঞ্জের নোয়াপাড়া গ্রাম ও এর আশেপাশে প্রায় দুশ’ বছর ধরে টিকে আছে ঢাকাই জামদানি।

এখানকার ২৫৬০টি পরিবার এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন এখনও। বংশ পরম্পরা রপ্ত করা এখানকার দক্ষ কারিগররা তাদের মস্তিষ্কের স্মৃতি আবার কখনো ক্রেতার চাহিদা মাফিক তৈরি করেন চন্দ্রপাড়, চন্দ্রহার, হংস, ঝুমকা, পান্না হাজার, দুবলি জাল, বুটিদার, তেরছা, জালার, ডুরিযা, চারকোণা, ময়ূর প্যাঁচ, কাউযার ঠ্যাঙা পাড়, চালতা পাড়, ইঞ্চি পাড়, বিলাই আড়াকুল, কচুপাতা পাড়, বাড়গাট পাড়, করলাপাড়, গিলা পাড় গোলাপফুল, জুঁইফুল, পদ্মফুল, কলারফানা, আদারফানা, সাবুদানা, কলসফুল, মুরালি জাল, কচিপাড়, মিহিন পাড়, কাঁকড়াপাড়, শামুকবুটি, প্রজাপতি, বেলপাতা পাড়, জবাফুল, বাদুড় পাখিসহ হরেক নামের নকশা।