
করমচা, টক স্বাদের ছোট আকৃতির মুখরোচক একটি ফলের নাম। কাঁটায় ভরা ফলটি গ্রাম থেকে এখন শহরেও চাষ করা হয়। কারও কারও বাড়ির ছাদ কিংবা বারান্দায়ও দেখা মেলে করমচার।

এক সময়ে গ্রামে করমচার প্রচুর ফলন হতো। কিন্তু বন-জঙ্গল কেটে পরিষ্কার করা এবং জমি কেটে বাড়িঘর নির্মাণ করার ফলে হারিয়ে যেতে বসেছে করমচা। করমচা নিয়ে কবিরা ছড়া লিখেছেন- ‘আয় বৃষ্টি ঝেপে ধান দেব মেপে, লেবুর পাতায় করমচা যা বৃষ্টি ঝরে যা’। বৃষ্টি নামতে কবিরা তাদের ছড়ায় করমচার কথা বলেন।

করমচা খুবই জনপ্রিয় টক জাতীয় ফল। কাঁটায় ভরা এ গাছ, পাতা ও ফলে নান্দনিকতার ছোঁয়া থাকায় অনেকে সৌন্দর্যবর্ধনের জন্যও এ গাছ রোপণ করে থাকেন।

করমচার বৈজ্ঞানিক নাম ক্যারিসা ক্যারোন্ডাম। কনটোরটি বিভাগে অ্যাপোসাইনেসি শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত করমচা ফলের আদিনিবাস ক্যারোনডাস প্রজাতি ভারতবর্ষ, গ্রান্ডিফোরা প্রজাতির দক্ষিণ আফ্রিকা এবং এডুইলিস প্রজাতির মিসরে। তবে ভারতবর্ষে এসব প্রজাতির করমচা দীর্ঘদিন ধরে চাষ হচ্ছে। বাংলাদেশের প্রায় সব জায়গায় সমতল ভূমিতে করমচা চাষ করা যায়। অ্যাপোসাইনেসি শ্রেণিতে ১৫৫ বর্ণের প্রায় এক হাজার গোত্রের করমচা গাছ দেখা যায়।
গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালীন ফল করমচা। এ সময় দেশে বিভিন্ন ধরণের ফল হয়ে থাকে। তবে বর্ষা আসতে এখনো অনেক দিন বাকি। ইতিমধ্যে করমচা গাছের পাতার ফাঁকে ফাঁকে থোকায় থোকায় করমচা দোল খাচ্ছে বাতাসে। প্রচণ্ড গরম ও খরতাপে পাকতেও শুরু করেছে। এবার সবকিছুই একটু আগে ফল উঠেছে। কারণ, আবহাওয়া অনুকূলের বাইরে থাকায় আগেই ফলগুলো পাকতে শুরু করেছে। ছবিগুলো রাজশাহী নগরীর কেন্দ্রীয় ঈদগাহের পাশ থেকে তোলা।-স্টার মেইল