
একদিকে বৃষ্টি আর অন্যদিকে পাহাড়ি ঢল৷ ভয়াবহ বন্যায় আক্রান্ত সিলেট। কোম্পানিগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট উপজেলার বেশিরভাগ এলাকাই পানিতে তলিয়ে গেছে। জৈন্তাপুর ও কানাইঘাট উপজেলারও বিস্তীর্ণ এলাকাও পানিবন্দি। পানি বাড়ছে সিলেট সদর, দক্ষিণ সুরমা, জকিগঞ্জ ও বিশ্বনাথ উপজেলায়।

সিলেট জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম জানিয়েছেন, সিলেট জেলার পাঁচ উপজেলার প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তাদের জন্য ৪৪৩টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে; দুর্গত এলাকায় ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত আছে।

জরুরি জিনিসপত্র নিয়ে দুর্গত এলাকা থেকে নিরাপদ স্থানের সন্ধানে ছুটছেন গ্রামের মানুষ।

চার দিনের টানা বৃষ্টিতে ভেসে গেছে কোম্পানিগঞ্জ। নিজেদের বাঁচাতেই যখন হিমশিম অবস্থা, তখন গবাদি পশু নিয়ে আরো বিপাকে পড়েছেন মানুষ। একটি পরিবারকে গরু নিয়ে উঁচু স্থানে যেতে দেখা যাচ্ছে ছবিতে।

সিলেট ও সুনামগঞ্জের নয়টি উপজেলার অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। সিলেট জেলায় ২৩০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি উঠেছে। এছাড়া জেলার ৬০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ ও মাদ্রাসা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় এগুলোতে পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে।

সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলায় বন্যাদুর্গতদের উদ্ধার ও ত্রানকাজে সেনা সদস্য নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ৷