
রহস্যময় ‘ফ্যান্টম’ বা ভৌতিক গ্যালাক্সির মধ্যে সম্প্রতি এক ‘ওয়ার্মহোল’-এ উঁকি মেরেছে জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ। বিজ্ঞানীদের ধারণা, সেই গ্যালাক্সির মধ্যভাগে এক ব্ল্যাক হোলের মধ্যে পেঁচানো ধুলিকণার স্তম্ভ চালিত হচ্ছে।
পৃথিবী থেকে প্রায় ৫০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে কার্টহুইল গ্যালাক্সির আকার বেশ অদ্ভুত। বিশাল সর্পিল গ্যালাক্সির সঙ্গে ছোট এক গ্যালাক্সির সংঘাতের কারণে এমনটা ঘটেছে। এই ছবির মাধ্যমে সেই গ্যালাক্সির অতীত ও ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।

দেখলে চকচকে পাহাড়ি নিসর্গ মনে হলেও এটি আসলে মহাকাশের এমন এক এলাকা, যেখানে নক্ষত্রের জন্ম ঘটছে। ক্যারিনা নেবুলার এনজিসি ৩৩২৪ নামের সেই অঞ্চলের ছবি তুলে জেমস ওয়েব এই প্রথম নক্ষত্রের আঁতুড়ঘর মানুষের কাছে দৃশ্যমান করে তুলেছে।
এসএমএসিএস ০৭২৩ এমন একগুচ্ছ গ্যালাক্সির এক সমারোহ, যেটি তার পেছনের মহাজাগতিক বস্তুগুলির আলো বড় ও বিকৃত করার ক্ষমতা রাখে৷ ফলে বিজ্ঞানীরা অত্যন্ত দূরের ও ক্ষীণ গ্যালাক্সিগুলি সম্পর্কে ধারণা পেতে পারেন।

সাদার্ন রিং নেবুলা আসলে এমন এক নীহারিকা, মৃতপ্রায় এক নক্ষত্রকে ঘিরে যার মেঘ সম্প্রসারিত হচ্ছে। প্রায় অর্ধেক আলোকবর্ষ ব্যাসের এই নীহারিকার মাঝে নিষ্প্রভ নক্ষত্রটি হাজার হাজার বছর ধরে সব দিকে গ্যাস ও ধুলিকণার বলয় পাঠিয়ে চলেছে। নেবুলার মধ্যেই নক্ষত্রের জন্ম হয়।

পাঁচটি গ্যালাক্সির এক সমষ্টির নাম স্টেফান্স কুইন্টেট। লাখ লাখ তরুণ নক্ষত্র ও নক্ষত্রের জন্মের এই এলাকার এত স্পষ্ট ছবি এর আগে কখনো দেখা যায় নি৷ জেমস ওয়েব সেই অসাধ্য সাধন করেছে।

ডাব্লিউএএসপি ৯৬ আমাদের সৌরজগতের বাইরে বিশাল এক গ্রহ৷ ২০১৪ সালে সেটি আবিষ্কৃত হয়। মূলত গ্যাস দিয়ে গঠিত সেই গ্রহ পৃথিবী থেকে ‘মাত্র’ প্রায় ১,১৫০ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। জুপিটারের প্রায় অর্ধেক আয়তনের গ্রহটি তিন দশমিক চার দিনেই নক্ষত্র প্রদক্ষিণ করে।
মহাকাশে নিজস্ব অবস্থানে পৌঁছে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের এমন সব অসাধারণ ছবি পাঠিয়ে চলেছে, যেমনটা মানুষ আগে কখনো দেখেনি।