Logo
×

Follow Us

ছবিঘর

লালসালুর পুটলিতে ‘কাঞ্চন নগরের গয়াম’

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৭ আগস্ট ২০২২, ১৩:৫৬

লালসালুর পুটলিতে ‘কাঞ্চন নগরের গয়াম’

চট্টগ্রামে আঞ্চলিক ভাষায় পেয়ারাকে বলা হয় ‘গোঁয়াছি’ বা ‘গয়াম’। চট্টগ্রামে সুমিষ্ট পেয়ারা বলতে দক্ষিণ চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার কাঞ্চন নগরের পেয়ারাকেই বোঝায়। এ পেয়ারাকে বলা হয় কাঞ্চন নগরের গয়াম। এখন চলছে এই পেয়ারার ভরা মৌসুম।

লালসালুর পুটলিতে ‘কাঞ্চন নগরের গয়াম’

প্রতি মৌসুমে দক্ষিণ চট্টগ্রামে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার বাগানে উৎপাদিত হয় ২০-৩০ কোটি টাকার পেয়ারা। চট্টগ্রাম নগর এবং জেলার সর্বত্র এখন দক্ষিণ চট্টগ্রামের পেয়ারায় সয়লাব। পেয়ারা বাগানের মালিকরা প্রতিদিন ভোরে বাগান থেকে পেয়ারা সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকার ১৬টি হাট ও খোলা জায়গায় বিক্রি করছেন।

লালসালুর পুটলিতে ‘কাঞ্চন নগরের গয়াম’

তবে সবচেয়ে বেশি পেয়ারা বেচাকেনা হয় চন্দনাইশ উপজেলার রওশন হাটে। এছাড়া, প্রতিদিন সকালে লাখ লাখ টাকার পেয়ারা বিক্রি হচ্ছে পটিয়া বাজার, চন্দনাইশ বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকা, গাছবাড়িয়া, বাদামতল এবং বাগিচা হাটে।

লালসালুর পুটলিতে ‘কাঞ্চন নগরের গয়াম’

চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার পেয়ারাচাষিরা জানান, রওশন হাটে প্রতিদিন ১ হাজার ভারের বেশি পেয়ারা বিক্রি হয়। রওশন হাট ছাড়াও উপজেলার বাদমতল, কমল মুন্সির হাট, গাছবাড়িয়া খান হাট ও বাগিচা হাটে চাষিরা পাহাড়ি অঞ্চলে উৎপাদিত পেয়ারা নিয়ে আসে লালসালু কাপড়ে মোড়ানো ভারে করে।

লালসালুর পুটলিতে ‘কাঞ্চন নগরের গয়াম’

সেখান থেকে সংগ্রহ করে বেপারিদের হাত ঘুরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলে যায় এ পেয়ারা। বংশ পরম্পরায় পেয়ারা চাষ ও বিক্রিতে নিয়োজিত এ অঞ্চলের অর্ধলক্ষ মানুষ।

চট্টগ্রামের চন্দনাইশের বিখ্যাত কাঞ্চন নগরের গহীন পাহাড়ের পাদদেশে সুস্বাদু পেয়ারার বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে যোগাযোগ ব্যবস্থা রাস্তার বেহাল দশার কারণে ভীষণ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে চাষীদের। পাঁচ মাইল পাহাড়ি পথ  হেঁটে যেতে হয় ভোর সকালে। বিস্তারিত ছবিঘরে...

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫