
আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে দুর্গাপূজা। শেষ হবে ১৯ অক্টোবর। এরই মধ্যে পূজার আগমনী বাদ্য বাজতে শুরু করেছে রাজধানীর পাড়া মহল্লায়।

গ্রামে গ্রামে পূজার আমেজ শুরু হয়েছে প্রতিমা ঘরে। সেখানে দিনরাত চলছে প্রতিমা গড়ার কাজ। রাজধানীতেও এর ব্যতিক্রম নয়।

প্রতিটি পূজা মণ্ডপে চলছে মা দুর্গাসহ অন্যান্য প্রতিমা গড়ার কাজ। মাটি দিয়ে পরম যত্নে নান্দনিকতা ফুটিয়ে তুলতে ব্যস্ত তারা। সেইসঙ্গে পুরো পূজামণ্ডপ ঘষেমেজে ঝকঝকে-তকতকে করার কাজও চলছে।

আগামী ৮ অক্টোবর শুরু হবে মহালয়া। এর আগেই মণ্ডপগুলোয় উঠবে নতুন প্রতিমা। পূজারিদের মধ্যে আসল পূজার আমেজ বিরাজ করবে সেদিন থেকেই।

এবার মা দুর্গা ধরনীতে আসবেন ঘোটক বা ঘোড়ায় চড়ে। আর বিদায় নেবেন দোলায় চড়ে। এবারের পূজার মূল বার্তা ছত্রভঙ্গ। মা দুর্গা ঘোড়ায় সওয়ার হয়ে নবকিছু লণ্ডভন্ড করে দিয়ে দুনিয়ায় আসবেন।

সাধারণত আশ্বিন মাসের শুক্ল পক্ষের ষষ্ঠ থেকে দশম দিন পর্যন্ত শারদীয়া দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়। এই পাঁচটি দিন যথাক্রমে ‘দুর্গা ষষ্ঠী’, ‘মহা সপ্তমী’, ‘মহাষ্টমী’, ‘মহা নবমী’ ও ‘বিজয়া দশমী’ নামে পরিচিত। আশ্বিন মাসের শুক্ল পক্ষটিকে বলা হয় ‘দেবীপক্ষ’। দেবীপক্ষের সূচনার অমাবস্যাটির নাম মহালয়া; এই দিন হিন্দুরা তর্পণ করে তাদের পূর্বপুরুষদের প্রতি শ্রদ্ধানিবেদন করে। দেবীপক্ষের শেষ দিনটি হল কোজাগরী পূর্ণিমা। এদিন হিন্দু দেবী লক্ষ্মীর পূজা করা হয়। কোথাও কোথাও পনেরো দিন ধরে দুর্গাপূজা পালিত হয়। সেক্ষেত্রে মহালয়ার আগের নবমী তিথিতে পূজা শুরু হয়।
প্রকৃতিতে শরতের শুভ্রতার সঙ্গে আসছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। এ উৎসব ঘিরে রাজধানীতে প্রতিমা তৈরিতে কারিগররা ব্যস্ত সময় পার করছেন। মৃৎশিল্পীদের নিপুণ হাতের ছোঁয়ায় প্রতিমাগুলে হয়ে উঠছে অপরূপ। খড় আর কাদা মাটি দিয়ে প্রতিমা তৈরি শেষে এখন চলছে প্রলেপ ও রঙের কাজ। পুরান ঢাকার একটি মন্দিরে চলছে পূজার শেষ প্রস্তুতি। প্রতিমা বানাতে ব্যস্ত কারিগররা। ছবি: স্টার মেইল