
সারাবিশ্বের ফুটপ্রেমীদের কাছের আরাধ্য নাম লিওনেল মেসি।

মাত্র চার বছর বয়সেই গ্রান্ডোলি নামের একটি স্থানীয় ক্লাবে যোগ দেন মেসি।

ছয় বছর বয়সে নিজের প্রিয় ক্লাব নিওয়েলস ওল্ড বয়েজে যোগ দিয়ে সেখানে মেসি ছয় বছর কাটিয়ে অর্জনের তালিকায় ৫০০ গোল অন্তর্ভুক্ত করেন।

১৪ তে বার্সার জার্সি, বয়সের কারণে বিশ্বের অন্যতম ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনা তাকে নিতে কিছুটা দ্বিধায় ছিল।

অল্প কিছুদিনের মধ্যে বার্সেলোনার দ্বিধা কেটে যায়, বার্সেলোনার ইয়ুথ একাডেমিতে যাওয়ার পর মেসি ২০০২ সালে স্প্যানিশ ফুটবল লিগে পেশাদার খেলোয়াড় হিসেবে নিবন্ধিত হন।

২০০৬-২০০৭ মৌসুমে বেশ কড়া বাছাই পর্বের পর মেসি ক্লাবের হয়ে ২৪টি জাতীয় ও ১০টি আন্তর্জাতিক শিরোপা জয় করে

বার্সেলোনার হয়ে মেসি ৮টি কিংস কাপ (কোপা দেল রেই), ৭টি স্প্যানিশ সুপার কাপ, ১০টি স্প্যানিশ লিগ চ্যাম্পিয়নশিপ। এছাড়াও মেসি ও তার দল চারটি উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও তিনটি ইউরোপিয়ান সুপার কাপ জয় করেন।

একজন ফুটবল খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ সম্মান গোল্ডেন বল (ব্যালন ডি’অর) মেসির ঘরে শোভা পেয়েছে সাতবার।

স্প্যানিশ আইনে কয়েকটি চুক্তি সংক্রান্ত সমস্যার কারণে মেসিকে ২০২১ সালে বার্সেলোনা ছাড়তে বাধ্য করা হয়।

২০২১ সাল থেকে মেসি সুপারস্টার কিলিয়ান এমবাপ্পে ও নেইমার জুনিয়রের সাথে বিশ্বের অন্যতম ধনী ক্লাব পারি সাঁ-জেরমাঁর (পিএসজি) হয়ে খেলা শুরু করেন।

তিনি ২০১৭ সালে তার শৈশবের প্রেমিকা রোজারিও’র আন্তোনেলা রোকুজ্জোকে বিয়ে করেন। তাদের ঘরে তিন সন্তান রয়েছে।

২০০৬ সালে জার্মানিতে অনুষ্ঠিত ফুটবল বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার জাতীয় দলের হয়ে প্রথম খেলেন মেসি।

২০০৮ সালের বেইজিং অলিম্পিকে আর্জেন্টিনার জাতীয় দলের হয়ে স্বর্ণপদক জয়লাভ করেন।

২০১৪ সালে ফাইনালে উঠলেও জার্মানির বিপক্ষে তৃতীয় বিশ্বকাপে নিজের ঘরে ট্রফি তুলতে পারেননি মেসি।

টানা পঞ্চমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলছেন এই সুপারস্টার।
বর্তমান সময়ে ফুটবল বিশ্বে সবচেয়ে জনপ্রিয় তারকার নাম লিওনেল মেসি। যখন যেখানে থাকেন সবকিছু আলো করে দেন। আবার যেখান থেকে চলে যান সেখানে অন্ধকার হয়ে যায়। মেসির জন্মই হয়েছে ফুটবল জাদু দেখানোর জন্য।
আজকের ছবিঘরে দেখে নিন লিওনেল মেসির সর্বকালের সেরা ফুটবলার হয়ে উঠার গল্প