
কাকডাকা ভোরে প্রতিদিন ঘর থেকে বেরিয়ে গোলের রস সংগ্রহে ব্যস্ত গাছিরা।

গোলগাছের ফুলের ডগা কেটে পরিকল্পিতভাবে রস সংগ্রহ করে। ফুলের ডগা কেটে পাত্র বেঁধে রেখে গোলের রস সংগ্রহ করা হয়।

এরপর শুরু হয় বাড়ির উঠোনে বসে রস দিয়ে গুড় তৈরি কাজ।

আর সেই গুড় স্থানীয় বাজারে বিক্রি করছেন গাছিরা।

নোনা পানিতে জন্মানো এই গোলগাছের গুড় যেমন সুস্বাদু ও মিষ্টি, তেমনি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারীও।

গোলগাছ থেকে অগ্রহায়ণ থেকে ফালগুন মাস পর্যন্ত দিনে দু’বার মাটির হাঁড়ি পেতে রস সংগ্রহ করা হয়।

গোলগাছের উচ্চতা প্রায় ১৫ থেকে ২০ ফুটের বেশি। সাধারণত লবণাক্ত পলিযুক্ত মাটিতে ভালো জন্মায়। বিস্তীর্ণ এলাকাসহ খালের ধার, চরাঞ্চল গোলগাছ চাষের উপযুক্ত স্থান। গোলগাছের বীজ (গাবনা) মাটিতে পুঁতে রাখলেই চারা জন্মায়। একেকটি গাবনায় ১২৫-১৫০টি পর্যন্ত বীজ থাকে।
দক্ষিণাঞ্চলের অর্থকারী ফসল গোলগাছ। নোনা জলে জন্ম, নোনা সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ। ডগা থেকে বেরিয়ে আসে সু-মিষ্ট রস। যা থেকে তৈরি হয় গুড় (মিঠা)। সুস্বাদু এ রসের চাহিদাও রয়েছে ব্যাপক। ছবিগুলো পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের নবীপুর গ্রাম থেকে তোলা।