
প্রায় ৩৫ বছর ধরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ক্যাম্পাসকে শীতকালের আবাসস্থল হিসেবে চিনে আসছে অতিথি পাখিরা। এ বছরও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি।
জাবি ক্যাম্পাসে দেখা মিলেছে ছোট সরালি, বড় সরালি, জলপিপি, শামুক খোল, গো বকসহ বিচিত্র রকম সব পাখির।

১৯৮৬ সালে জাহাঙ্গীরনগরের লেকে প্রথমবারের মতো দেখা মিলেছিল অতিথি পাখির। এরপর থেকে প্রতি বছর শীত মৌসুমে এখানে আসছে তারা।

ছোট বড় মিলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে লেক রয়েছে অন্তত ২৬টি। তবে, এরমধ্যে মাত্র ৪টি লেকে পাখিদের বসতে দেখা যায়। কারণ লেক ৪টি লিজমুক্ত। ফলে মাছচাষ বা অন্য কোনো ধরনের কার্যক্রম ও কীটনাশকের ব্যবহার না থাকায়, এগুলোতে প্রাকৃতিকভাবেই পাখিদের খাবার জন্মে।

জাহাঙ্গীরনগরে আসা পাখিগুলোর ৯৭ থেকে ৯৮ শতাংশই লোকাল মাইগ্রেটরি বা দেশীয় পরিযায়ী পাখি; এরমধ্যে ছোট সরালি বা পাতি সরালি অন্যতম। এছাড়া, এর সঙ্গে কিছু বড় সরালিও আসে; এরা মূলত বিদেশি অতিথি। ভারত ও নেপালের হিমালয় বেসিন থেকে আসে এরা।
শীতের শুরুতেই অতিথি পাখিদের কিচিরমিচিরে মুখরিত হতে থাকে ঢাকার অদূরে সাভার উপজেলার প্রায় ৭০০ একর। আশেপাশে আরও অনেক জলাশয় আর খালি জায়গা থাকলেও শুধু ওই নির্দিষ্ট ৭০০ একরেই অতিথিদের আনাগোনা। দলবেঁধে কখনও তারা আকাশে উড়ছে, আবার কখনও শাপলা-পদ্মে ভরা লেকের পানিতে আপন মনে ভেসে বেড়াচ্ছে।