
প্রতীকী ছবি।
যার প্রেমিকা চলে গেছে
তার বুকে কাঁদামাটি, থকথক
সে বসে থাকে ব্যথাপুরের নির্জন ঘরে
শুঁড়িখানা এবং বেশ্যালয়ের সীমান্ত বরাবর
এক অন্ধ রাস্তা, কাদামাটি পেরিয়ে চলে গেছে সবজির মাঠ
মাঠে শেয়াল ডাকে, ওয়ারী বটেশ্বর রাজবাড়ির পেছনে
সন্তানহারা ডাহুক পাখি সোমপুর ছেড়ে এসেছে
জানি কতো রক্তবমির পর জন্মায় ডাহুকের প্রেম, সন্তান
শত প্রেমিকের অসুখ নিয়ে বাঁচে বাদার জঙ্গল
জঙ্গলে ঢিল ছুঁড়ে বয়স্ক নীরবতা, তীরে বসে থাকে
অনিদ্রার তিনটি পাতিহাঁস, উড়ে যায় হরপ্পার দিকে
প্রেমিক ভাবে, কোথাও যাবে না আর
মিলনের গন্তব্যহীন এইখানে মেমোরি তার
মাটি আঁকড়ে ধরে কাঁদে, চোখে নদী প্রতীক্ষার
মাটি বলে, পুত্র আমার, কেঁদোনা আর'
চলে গেলে কেউ আসে না ফিরে' তার
কেবল সম্পর্কের বায়বীয় সংসার
ডাহুকের ফেলে যাওয়ার পালক মতো
বসে থাকে এক অন্ধ রাস্তা বরাবর
মাটি বলে, ফিরে যা বাপ' জীবনের কাছে, যা
জীবন একা বসে আছে জন্মান্ধ ঘরে
দরজায় বসে দিচ্ছে প্রহরা দু'বোন, ব্যথা ও বেদন
আর মাটি হলো মা, সব ব্যথা বুকে নিয়ে বুনেছে সমূহ মায়া
বুকে কাঁদা থকথক আবছায়া
প্রেমিক বসে আছে ইতিহাসে, হওয়ায়
বুক ধকধক, বৃক্ষের চোখে এমন দৃশ্য যায় পাওয়া।