Logo
×

Follow Us

কবিতা

আন্তোনিও মাচাদোর কবিতা

Icon

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২০, ২২:০৩

আন্তোনিও মাচাদোর কবিতা

আন্তোনিও মাচাদো- এস্পানিওল ভাষার অন্যতম কবি। তিনি জন্মেছেন- ২৫ জুলাই ১৮৭৫ সালে এস্পানিয়ার আন্দালুসিয়ার সেবিইয়া শহরে। ছোট্ট শহর সোরিয়ায় ২০০৭ সালে ঘটা করে পালিত হয়েছে তার পৃথিবীতে আগমনের শতবর্ষ। তিনি খুব কম লিখেছেন- কিন্তু যা লিখেছেন তা তাকে কাব্যাঙ্গনে স্থায়ী আসন গেঁড়ে বসার একটি চূড়ান্ত ব্যবস্থা করেছে। এস্পানিওল ভাষার কবিতায় আধুনিকতার সূত্র তৈরি করেন তিনি। ফলে তার লেখা কবিতা সেখানে জনপ্রিয় এবং সমধিক পঠিতও। তার কাব্য সমগ্রের ব্যাপ্তি ৩৭৩ পৃষ্ঠায়। ১৯১২ সালে তার লেখা ‘কাস্তিইয়ার মাঠক্ষেত’ প্রকাশ পাওয়ার পর চারদিকে সাড়া পড়ে যায়, এই সময়ে তরুণ কবি গারসিয়া ফেদেরিকো লোরকা মাচাদোর সাক্ষাতে আসেন। এস্পানিওল ভাষার আধুনিকতম এই কবি ১৯৩৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি পকেটে নিয়ে শুয়েছিলেন তার লেখা শেষ কবিতা- যখন তিনি ছিলেন মৃত। আন্তোনিওর কবিতাগুলো ভাষান্তর করেছেন- নাতাশা রেহান।


গ্রীষ্মের রাতে


এক সুন্দর গ্রীষ্মরাত 

বিশাল সব বাড়িতে আছে 

খোলা বারান্দা,

দীর্ঘ পুরনো গাঁয়ের বিরাট চকের দিকে। 


চওড়া সেই আয়তাকার মরুভূমিতে

পাথরের বেঞ্চ, আকাশমণি আরও বৃক্ষ 

সাদৃশ্যপূর্ণ তাদের কালো ছায়া

আঁকা হয় শাদা বালির ভেতর।


দূরে চাঁদ- মিনারে

ঘড়ির কাচ জ্বলছে

আমি এই পুরনো গ্রামে হয়ে আছি অচঞ্চল একা। 


ভ্রমণকারী


সে এক শীতের রাত

পাতা কাঁপে পপলার

বাতাসে। শাদা বরফে 

চারদিক রয়েছে ঢেকে।


এরই মধ্যে একজন অশ্বারোহী

চলেছে- চোখ ঢেকে, 

উলের কালো কাপড়ে।


সে গ্রামে ঢুকে আলবারগোনসালেসদের

বাড়ি খুঁজে নিয়েছে- আর অশ্বের

পিঠে বসেই ডাকতে লাগল।


খ. 

শুনেছে দুই ভ্রাতায়

দরোজায় ঘোড়ার খুরে পাথরের শব্দ

এবং মানুষের ডাক।


অতঃপর তারা চোখ তুলে বিস্ময়ে, ভয়ে


- কে তুমি?

- মিগেল, উত্তরে সে বলেছে।


কিন্তু তা ছিল দূর থেকে আসা 

ভ্রমণকারীর কণ্ঠস্বর!


গ. 

কপাট খুলে গেছে- অশ্বারোহী 

তার চলমানতায় ঢুকে পড়ে।

তার সারা শরীর ছিল বরফাবৃত

তারপর দুই ভ্রাতার বাহুতে মুখ 

লুকিয়ে নিঃশব্দ কান্নায় ভাঙে


গায়ের ওভারকোট আর মাথার টুপি

তারা দুই ভ্রাতা পেলো...


লোকটি খুঁজল আগুন।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫