Logo
×

Follow Us

কবিতা

মাও সেতুঙ-এর একগুচ্ছ কবিতা

Icon

কায়েস সৈয়দ

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২০, ০২:৪৫

মাও সেতুঙ-এর একগুচ্ছ কবিতা

মাও সেতুঙ।

চিং পাহাড়ের দিকে তাকাও

(হি চিয়াং ইউয়েহ এর সুরের প্রতি- শরৎ ১৯২৮) 


পাহাড়ের নিচে ওড়ে আমাদের পতাকা ও ব্যানার

পাহাড়ের চূড়ায় বাজে আমাদের বিউগল ও ড্রাম

আমাদের ঘিরে রাখে হাজারো শক্তিশালী শত্রু 

অবিচলিতভাবে আমরা থাকি আমাদের মাটিতে

ইতিমধ্যেই আমাদের প্রতিরক্ষা লৌহাবৃত

এখন আমাদের ইচ্ছেগুলো দুর্গের মতো ঐক্যবদ্ধ

হুয়াং ইয়াং চিহ হতে বন্দুকের বজ্রতুল্য গর্জন

শব্দ আসে রাতের মধ্যেই পালিয়ে গেছে শত্রু


নারী সৈন্যবাহিনী


একটি আলোকচিত্রে শিলালিপি

কত সুন্দর ও সাহসী দেখায় তাদের, রাইফেল হাতে কাঁধে কাঁধ পাঁচ ফুট!

দিনের প্রথম কিরণে প্যারেট গ্রাউন্ডে মাতাল

চিনের মেয়েদের গগণস্পর্শী মন

তারা ভালোবাসে তাদের যুদ্ধ-বিন্যাস, সিল্ক কিংবা সাটিন নয়


হলুদ ক্রেন টাওয়ার

(পু সা ম্যান এর সুরের প্রতি- বসন্ত ১৯২৭)


প্রশস্ত, নয়টি প্রশস্ত ধারা ভূমিতে প্রবাহিত

অন্ধকার, রেখার সঙ্গে যোগসূত্র করে অন্ধকার Ñ

দক্ষিণ থেকে উত্তর

আবছায়া বৃষ্টির জলীয় বাষ্পে অস্পষ্ট

কচ্ছপ ও সাপ ধরে রাখে বৃহৎ নদীটি গাঢ় আলিঙ্গনে

হলুদ ক্রেন চলে গেলো, কোথায় কে জানে? 

শুধুমাত্র এই টাওয়ারটি পরিণত হয়েছে দর্শনার্থীদের আড্ডায়

আমার ওয়াইন বন্ধক রাখি উত্তাল খরস্রোতে

আমার হৃদয়ের জোয়ার ফুলে ওঠে ঢেউয়ে


যুদ্ধবাজদের সংঘর্ষ


আকস্মিক বাতাস ও বৃষ্টির দিক পরিবর্তন

এক পশলা বৃষ্টি দুর্গতি আনে জমিজুড়ে

যুদ্ধবাজরা সংঘর্ষ করছে নতুন করে

তবুও আরেকটি সোনালি ভুট্টার স্বপ্ন

লাল পতাকা লাফ দিয়ে টিঙ নদী পার হয়ে

সোজা লুঙইয়েন ও শাঙহাঙ এর দিকে

আমরা পুনরুদ্ধার করেছি সোনার বাটির কিছু অংশ

এবং ভাগ করে নেওয়া হয়েছে জমি উৎসাহের সহিত


রূপকথার গুহা

(কমরেড লি চিনের তোলা একটি ছবিতে শিলালিপি)


গোধূলির ক্রমবর্ধমান আলোকাবরণে পাইন গাছ দাঁড়িয়ে থাকে মজবুত

উন্মত্ত মেঘগুলো ঝাড়ু দেয় অতীত চুপচাপ দ্রুত

রূপকথার গুহায় অতিক্রম করেছে প্রকৃতি নিজেকে

তার অসীম বৈচিত্র্যে বিপজ্জনক চূড়ায় বাস করে সৌন্দর্য


কুয়াঙচঙ রোডে

(চিয়েন জু মু লাল হুয়া এর সুরের প্রতি-ফেব্রুয়ারি ১৯৩০)


বিস্তীর্ণ সমস্ত পৃথিবী সাদা

তুষারের পথ অধীর আগ্রহে নিঙড়িয়ে যাই আমরা

আমাদের মাথার ওপর আবছাভাবে আবির্ভূত হয় দুরারোহ পাহাড়

পার হই সুবিদিত গিরিপথ, বাতাসে দোল খায় লাল পতাকা

কোথায় আবদ্ধ আমরা? 

তুষার বয়ে গেছে কান নদীর কাছে

গতকাল আদেশ দেওয়া হয়েছে

এক লক্ষ শ্রমিক ও কৃষক লংমার্চ করে কিয়ানে


দ্বিগুণ নবমী


মানুষ বৃদ্ধ হয় খুব সহজেই, প্রকৃতি নয়

বছরের পর বছর দ্বিগুণ নবমী আসে ফিরে

এ দ্বিগুণ নবমীতে

হলুদ ফুল ফোটে যুদ্ধক্ষেত্রে, মিষ্টি গন্ধ

প্রতি বছর শরতে 

প্রবাহিত হয় প্রচণ্ড বাতাস

বসন্তের মতো জাঁকজমক নয়

এখনো সবাইকে ছাড়িয়ে বসন্তের জাঁকজমক

দেখ

হীমশীতল বাতাস ও জলের অফুরান বিস্তৃতি


বন্ধুর প্রতি জবাব

(১৯৬১)


সাদা মেঘগুলো তুলছে পাল চিউই পর্বতের ওপর

পরিভ্রমণ করছে বাতাসে, রাজকন্যারা নেমে আসে সবুজ পাহাড়ে

একবার তারা তাদের অমিত অশ্রু দিয়ে

দাগযুক্ত করেছিল বাঁশগুলোকে

এখন তারা পোশাকে মোড়া গোলাপ-লাল মেঘে

টুঙটিঙ লেকের তুষার- শীর্ষ তরঙ্গ ঢেউ প্রবাহিত হয় আকাশের দিকে

পৃথিবী কাঁপানো গান দিয়ে প্রত্যাবর্তন করে দীর্ঘ দ্বীপ

হারিয়ে গেছি স্বপ্নে আমি, ভোরের রোদ্দুরে

পুষ্পপ্রদীপ্ত উজ্জ্বল ভূমির নিরবচ্ছিন্ন স্বপ্নে

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫