
এইয়ে কিভা
এইয়ে কিভা একজন কবি, অনুবাদক এবং সাংবাদিক। বাস করেন ইউক্রেনের কিয়েভে। স্বর্গ থেকে অনেক দূরে এবং শীতের প্রথম পাতা তাঁর প্রকাশিত দুটি বই। তিনি সমসাময়িক অনেকের মতো একচেটিয়া ইউক্রেনকে আলিঙ্গন করতে নারাজ। কিভার কবিতাগুলো এমন একটি দেশের প্রতি তাঁর দৃঢ় সংযুক্তি প্রকাশ করে যা এখনো নিজেকে সংজ্ঞায়িত করতে সংগ্রাম করছে, সেই সঙ্গে প্রকাশ করে তাঁর একক জাতিগত পরিচয়ের অভাব। কিভা তার মিশ্র রুশ, ইউক্রেনীয় এবং ইহুদি বংশের কথা বলেছেন ও লিখেছেন।
এ কফিন তোমার জন্য, ছোট্ট খোকা, ভয় পেয়ো না, শুয়ে পড়ো
জীবন নামক একটি বুলেট তোমার মুঠিতে শক্ত করে ধরা
আমরা বিশ্বাস করিনি মৃত্যু, দেখো- ক্রুশগুলো টিনের পাত
শুনতে পাও- সমস্ত বেল টাওয়ারগুলো ছিঁড়ে ফেলছে তাদের জিভ?
আমরা তোমাকে ভুলবো না, বিশ্বাস করো, বিশ্বাস করো, বিশ্বাস...
বিশ্বাসের রক্ত ঝরে যায় তোমার হাতার ভেতর
তোমার কণ্ঠে অনবরত উচ্চারিত হয় মন্ত্র, প্রার্থনা, গীত
এই নারকীয় শীতের মধ্যে সবাই খাকি পোশাকে
আর ফেব্রুয়ারির গায়ে কালিমা পড়ছে, কাঁদছে
আর মোমবাতি টেবিলে গলে গলে পড়ছে, জ্বলছে আর জ্বলছে
* কবিতাটি রুশ ভাষা থেকে ইংরেজিতে ভাষান্তর করেন এমেলিও গ্লেসার ও ইউলিয়া এলচাক, ২০১৪
আর যখন আমার হত্যার পালা এলো
সবাই লিথুয়ানিয়া ভাষায় কথা বলতে শুরু করলো
সবাই আমাকে বলতে শুরু করলো ইয়াকুনাস
আমাকে নিমন্ত্রণ করে নিলো তাদের জন্মভূমিতে
আমার ঈশ্বর! আমি বলেছিলাম, আমি লিথুনিয়ান নই
আমার ঈশ্বর! আমি তাদের বলেছিলাম, বলেছিলাম তা ঈডিশ ভাষায়
আমার ঈশ্বর! আমি তাদের বলেছিলাম, বলেছিলাম তা রুশ ভাষায়
আমার ঈশ্বর! আমি তাদেরকে এসব বলেছিলাম, বলেছিলাম বসে ইউক্রেনে
যেখানে কলমিয়াস নদী প্রবাহিত হচ্ছে নেমান নদীতে
আর একটি শিশু কেঁদে যাচ্ছে একটি গির্জায়
* কবিতাটি রুশ ভাষা থেকে ইংরেজিতে ভাষান্তর করেন এমেলিও গ্লেসার ও ইউলিয়া এলচাক, ২০১৬
নীরবতার একটি সুই তোমার মুখে ধরে রাখা
সাদা সুতোয় সেলাই করা তোমার কথা
থুতুতে ডুবে যাওয়ার সময় কাতর স্বরে কাঁদা
রক্ত থুতুর চিৎকার পুষে রাখা
মরচে পড়া বালতির মতো ফুটো
একটি ভাষার জল তোমার জিহ্বায় রাখা
প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো মেরামত করে নেয়া
হাসপাতালে আহতদের ব্যান্ডেজের মতো
সত্যিকারের দুর্বল জায়গাগুলোতে সেলাই করে নেয়া
এমন একটি জীবনের অনুসন্ধান করা
যা এখনোও শিখতে পারেনি তার নাম
* কবিতাটি ইউক্রেনীয় ভাষা থেকে ইংরেজিতে ভাষান্তর করেন এমেলিও গ্লেসার ও ইউলিয়া এলচাক, ২০১৯
ভাষান্তর : কায়েস সৈয়দ