বইমেলায় অদ্বিতের ‘এখানে অন্ধকার একটা যোগসূত্র’

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২০:১৯

অমর একুশে বইমেলা ২০২০-এ প্রকাশিত হচ্ছে অদ্বিত অদ্রি অনন্তের দ্বিতীয় কবিতার বই ‘এখানে অন্ধকার একটা যোগসূত্র’।
বইটি প্রকাশ করছে ‘পেন্ডুলাম পাবলিশার্স’। প্রচ্ছদ করেছেন জান্নাতুল ফেরদাউস জেমীম এবং প্রচ্ছদের নামলিপি করেছেন নাঈমা মৌ। বইটির সম্ভাব্য মুদ্রিত-মূল্য ১৪০ টাকা। মেলায় বইটি পাওয়া যাবে পেন্ডুলাম প্রকাশনীর ২৭১ নং স্টলে; মেলার দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে।
চার ফর্মার এই বইটিতে রয়েছে মোট ৫৭টি কবিতা। স্রেফ কবিতা। পরিস্থিতির বিবরণ। কবিতায় কোনো গভীর জীবন দর্শন ব্যক্তি সজ্ঞানে আরোপ করতে চাননি এখানে। “যদি কিছু পাওয়া যায় (গভীর কোনো দর্শন) তবে তা কেবলই হাওয়া ও পরিস্থিতির ব্যক্তিগত বোঝাপড়া। “ব্যক্তি এখানে নিজেকে কবি বলে মনে করেন না। “কেননা কবিতা লেখে হাওয়া, লেখে স্বয়ং পরিস্থিতি। তারাই তো কবি। ব্যক্তি কেবলই মাধ্যম- হাওয়ার একটা হাত- যে হাত কেবল কলম ধরার (কিংবা টাইপ করার) পরিশ্রমটুকুর স্বীকৃতি পেতে রাজি।”
বইটিতে ব্যক্তিগত টানাপোড়েন, সমাজের অসঙ্গতি, রাষ্ট্রের জুলুম, স্বাধীনতা, প্রেম ও ঈশ্বর- এইসবরের পাশাপাশি উঠে এসেছে ব্যক্তির নিজস্ব একটি কল্পনার জগৎ- যা প্রতিনিয়ত চ্যালেঞ্জ করে পরিস্থিতিকে, স্বয়ং ব্যক্তিকে।
মোট কথা- ব্যক্তি যেহেতু কবি নন, কবি হন মুহূর্ত স্বয়ং, সেহেতু ব্যক্তিগত সেইসব মুহূর্ত ও হাওয়ার সমস্ত শরীরের ভেতর ভাঁজ হয়ে শুয়ে থাকার একটা উপায় হতে পারে, এই বইটি।
অদ্বিত অদ্রি অনন্ত শৈশব ও কৈশোর থেকে গান ও কবিতাকে আকড়ে ধরে আছেন। বিভিন্ন অনলাইন কিংবা প্রিন্ট ম্যাগাজিনে তার কবিতা প্রকাশিত হয় মাঝে মধ্যে। গায়ক, গীতিকার ও গিটারবাদক হিসেবে তিনি যুক্ত আছেন নিজস্ব ব্যান্ড “একদল মানুষ” এর সঙ্গে। ঢাকার গ্রীন ইউনিভার্সিটিতে ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স পড়ার পাশাপাশি তিনি সাব-এডিটর পদে কর্মরত আছেন সাম্প্রতিক দেশকাল পত্রিকার অনলাইন (ইংরেজি) বিভাগে। ২০১৯ একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয় তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘বরফে তৈরী মানুষের সিক্রেট’, আগামী প্রকাশনী থেকে।
একটা পথ দেখে আমার প্রায়ই মনে হয়
এই পথটা জঘন্যতম, হয়ত;
এমনই আমি প্রতিজ্ঞা করি প্রত্যেকটা দিন
মনে মনে, যেন এই পথে
একবারও আমি হাঁটতে না যাই
ভুলক্রমে, কোনো উসিলাবশত।
অথচ, প্রায়ই আমি দেখি|
আমি একটা পথের শেষপ্রান্তে দাঁড়ানো—
পূর্ববর্তী হন্টন তখন কেবলই
বিফল স্মৃতিচারণ আমার— যাকে
আশংকা নামে ডাকা যায় এরপর; নির্দ্বিধায়।
পায়ের দিকে তাকাই, দেখি পরিষ্কার।
মাথার ভেতর তাকাই, দেখি কাদা লেগে আছে।
(‘ইন্টারমিটেন্ট এক্সপ্লোসিভ ডিজঅর্ডার’/ ‘এখানে অন্ধকার একটা যোগসূত্র’ বই থেকে)