আফগান নারীদের গাওয়া শ্লোক বা কবিতার দুটি লাইনের মাধ্যমে আবেগ, আকাঙ্ক্ষা বা বিলাপে যে আবেগ অনুভূতি প্রকাশ পায় তা শ্রোতাকে স্বস্তি দিতে সক্ষম হয়। তবুও ব্যাকরণগত কাঠামো যতটা অনুপ্রেরণা দেয়-ততটা সাহায্য করে বিভিন্ন স্রষ্টাকে আলাদা হতে। তাদের সুরগুলো নারীদের লান্দাইয়ের মতো গভীর ও বিশুদ্ধ সংযম অর্জন করে।
প্রকৃতপক্ষে সম্প্রদায়ের সেই অংশ থেকে পরবর্তী উৎসগুলো বিদ্বেষপূর্ণভাবে অকর্ষিত। তারা সরল আর দুর্বল হলেও আশেপাশের সমভূমি ও পাহাড়ের বুনো ফুলের মতোই সুন্দর। কারণ তারা সুশৃঙ্খলভাবে বপন করা ছাড়াই জন্মেছে, অরক্ষিত ও প্রভাবমুক্ত। কঠোর অর্থে-তারা পর্দার বাইরে বিদ্যমান। তবে তারা যে অনুভূতি ও ধারণাগুলো প্রকাশ করে তা দেখে সেগুলোর লেখকদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাতে হয়।
নির্দয় লোক দেখে যায়-কী করে এক বৃদ্ধ আমায় নিয়ে যায় তার বিছানায়
জানতে চাও আবার-কেন আমি ফুপড়ে কাঁদি-কেনইবা চুল ছিঁড়ি!
এমনকি জীবনের একঘেয়েমিতা তাকে উদাসীনতার সাথে এমন
অসামঞ্জস্য দাম্পত্য জীবনকে সহ্য করতে সাহায্য করে না :
হায় খোদা! আবারও আমার কাছে কালোরাত পাঠালে
আবারও আপাদমস্তক উঠি আমি কেঁপে-ঘৃণা করা শয্যায় আমাকে যেতে হবে
হায় খোদা! আরও একবার তোমার দীর্ঘ-নীরস রাত এখানে
আরও একবার আমার ‘ছোট ভয়’ এখানেই আছে ঘুমিয়ে
‘ছোট ভয়’ যা প্রাপ্য মাঝেমধ্যে সে তা পায় ঠিক এ রকমভাবে :
হে আমার প্রেম-আমার সাথে ঝাঁপ দাও শয্যায়
ভয় পেয়ো না যদি ভেঙে যায়-মেরামতের জন্য তো আছেই ‘ছোট ভয়’
হে আমার প্রেম-তুমি আমাদের ঘরে আসলে ‘ছোট ভয়’ রেগে যায়
আর এসো না-পরকালে আমার দুই দুয়ারের মধ্য-মুখ তোমাকেই দেবো হায়
প্রিয়তম আমার-এসো-কাছাকাছি কিছুক্ষণ বসো
জীবন দ্রুত পরিণত হচ্ছে ক্ষণস্থায়ী শীতের সন্ধ্যায়
প্রিয়-আমার কবর খুলো আর দেখো
আমার চোখের মিষ্টি নেশা ঢেকে দিয়েছে ধুলো
হে ভাঙা কবর-হে বিক্ষিপ্ত ইট-প্রিয় এখন আর ধূলিকণা ছাড়া কিছুই না
বিলাপের বাতাস আমার কাছ থেকে তাকে নিয়ে গেছে বহু দূরে
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
বিষয় : আফগান নারী কবিতা সাহিত্য কায়েস সৈয়দ
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh