দুই মাসে ৫০ হাজার কোটি টাকা ছাপানো হয়েছে: ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৮:৫৫

গুলশানে বিএনপির সংবাদ সম্মেলন। ছবি: সংগৃহীত
‘গত দুই মাসে ৫০ হাজার কোটি টাকা ছাপানো হয়েছে’- অভিযোগ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ একদিকে শত শত কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে দিচ্ছে, অন্যদিকে টাকা ছাপিয়ে দেশ চালাচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে পঠিত বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশ থেকে যে পরিমাণ অর্থপাচার হচ্ছে তা রোধ করা গেলে আইএমএফের ঋণের প্রয়োজন হতো না। তিনি বলেন, সরকারের সীমাহীন দুর্নীতিই দেশের অর্থনৈতিক বৈকল্যের কারণ।
বিএনপি অভিযোগ করেছে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এর শর্তপূরণে আন্তরিক নয় সরকার । আইএমএফ চাইছে, সরকারি ব্যাংকে ১০ শতাংশ ও বেসরকারি ব্যাংকে ৫ শতাংশের নিচে থাকুক খেলাপি ঋণ। কিন্তু, সরকার খেলাপি ঋণ আদায়ে বাস্তব, কার্যকর ও ফলপ্রসূ পদক্ষেপ না নিয়ে যতসব 'অদ্ভূত উপায়ে খেলাপি ঋণ কমানোর পদক্ষেপ নিচ্ছে। এটা এক ধরনের আইওয়াশ'।
‘কৌশলে এক ব্যাংকের আদায়যোগ্য খেলাপি ঋণ, আরেক ব্যাংকে স্থানান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। আবার বড় বড় ব্যবসায়ী গ্রুপের খেলাপি ঋণ পুনঃঅর্থায়ন ও পুনঃতফসীলিকরণের মাধ্যমে নবায়ন করা হচ্ছে’।
মির্জা ফখরুল বলেন, আইএমএফ এর শর্তপূরণে জনগণকে যেন খেসারত দিতে না হয়। আইএমএফ প্রস্তাবিত সংস্কারগুলো দেশের প্রয়োজনে অনেক আগেই স্ব-উদ্যোগে বাস্তবায়ন করা উচিত ছিল। দেরিতে হলেও ব্যাংকিং ও রাজস্ব খাতসহ অন্যান্য সংস্কারগুলো আন্তরিকতার সাথে অবিলম্বে সম্পাদন ও বাস্তবায়ন আবশ্যক। কিন্তু, অর্থনীতির বর্তমান দুঃসময়ে আইএমএফ এর শর্তগুলো পূরণে যেন নিম্ন আয়ের মানুষদের কষ্ট না হয়। আইএমএফ এর শর্ত পূরণে সারের পর তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে। এরইমধ্যে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দামও বাড়ানোয় মানুষের ভোগান্তি কতোটা বেড়েছে, তা বলাই বাহুল্য।
তিনি বলেন, লক্ষ্য রাখতে হবে, আইএমএফ এর সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নে যেন মানুষের বঞ্চনা ও কষ্ট না বাড়ে। বিশেষ করে সার, খাদ্য ও জ্বালানিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বিপরীতে রাতারাতি ভর্তুকি কমিয়ে দিলে জনভোগান্তি বাড়বে। কর-জিডিপি অনুপাত বাড়ানো প্রয়োজন। কিন্তু, সাধারণ মানুষের ওপর যেন করের বোঝা না বাড়ে। যারা কর দেয় তাদের ওপর বোঝা না বাড়িয়ে, করের পরিধি বাড়ানো উচিত' বলেন তিনি।
এদিকে আইএমএফের শর্তের বিষয়ে বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ব্যাংক থেকে ঋণ অবলোপনের নীতিমালা আরো শিথিল করা হয়েছে। অথচ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি সহায়তা ছাড়া খেলাপি ঋণ কমানো সম্ভব নয়। ‘মর্নিং শোস দ্য ডে’- আইএমএফ এর ঋণ প্রাপ্তির শুরুতেই এটা স্পষ্ট হয়েছে যে, ঋণ খেলাপি কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে সরকার আন্তরিক নয়।
অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ খেলাপি ঋণ নিয়ে বলেছেন, ‘কাগজে সই করলেই তো খেলাপি ঋণ কমে যাবে না। এর জন্য দরকার রাজনৈতিক সদিচ্ছার। বর্তমান সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে দেশের অবস্থা আজ এমন শোচনীয় হত না’।
‘অনেকে মনে করেন, আইএমএফ এর ঋণে সংকট কাটবে না। এ ঋণ বরং অভিজাত শ্রেণির পেটে যাবে, কষ্ট বাড়বে সাধারণ জনগণের। ব্যাংকিং ও রাজস্ব খাতের সংস্কার এবং নীতি সংস্কার করে খেলাপি ঋণ পুনরুদ্ধার না করলে, শক্তভাবে দুর্নীতি ও অর্থ পাচার রোধে ব্যর্থ হলে যে সূত্র হতেই ঋণের টাকা আসুক নানা কৌশলে শেষ পর্যন্ত অলিগার্করাই বরং তা লুণ্ঠন করে নিবে’।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বর্তমানের ডলার ও অর্থনৈতিক সংকট তৈরি হওয়ার প্রধান কারণ- ঋণ করে কম প্রয়োজনীয় মেগা প্রকল্প গ্রহণ। যার কিস্তি শোধ করতে গিয়ে এখন রিজার্ভে টান পড়েছে। বিদ্যুৎ খাতে ক্যাপাসিটি চার্জের নামে এপর্যন্ত প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকার মতোন দুর্নীতি করে লুট করা হয়েছে। দেশের গ্যাস উত্তোলন না করে, এলএনজি ও কয়লা বেশি দামে বিদেশ থেকে কেনা হচ্ছে। ঋণ খেলাপিদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় আশ্রয়প্রশ্রয় দেওয়ায়– চার লক্ষাধিক কোটি টাকা থেকে রাষ্ট্র বঞ্চিত হচ্ছে। আইএমএফ যে পরিমাণ ঋণ দিচ্ছে তা প্রবাসীদের পাঠানো দুই মাসের আয়ের সমান। প্রতিবছর দেশ থেকে যে পরিমাণ ডলার পাচার হচ্ছে, তা রোধ করা গেলে এই ঋণ নেয়ার কোন দরকারই হতো না।
দেশ মহাবিপর্যয়ে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশে অর্থনৈতিক সংকট কেটে যাওয়ার কোন লক্ষণ নেই বরং সংকট আরো ঘনীভূত হচ্ছে। সামষ্টিক অর্থনীতির প্রায় সবকটি সূচকই আরো দুর্বল ও প্রকট হয়ে উঠেছে। অসহনীয় মূল্যস্ফীতি, নজিরবিহীন ডলার সংকট, ডলারের বিনিময়ে টাকার অভূতপূর্ব অবমূল্যায়ন, ব্যাংকিং ও আর্থিক অব্যবস্থাপনা, অপরিণামদর্শী ভ্রান্ত নীতি, অদক্ষ ও দলকানা নীতি বৈষম্য, সর্বগ্রাসী দুর্নীতি, বিদেশে অর্থপাচার, ঋণ প্রাপ্তির অপর্যাপ্ততা, সুশাসনের অভাব, সামাজিক-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক আয় বৈষম্য এবং সর্বোপরি গণতন্ত্রহীনতা বর্তমান অর্থনৈতিক নৈরাজ্যের মূল কারণ।
'সরকার অবশেষে বিরাজমান অর্থনৈতিক দুর্যোগের কথা স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে কঠিন শর্তে আইএমএফ এর নিকট থেকে ঋণ নিচ্ছে। বলতে গেলে সরকার এখন ব্যাংক থেকে ধার করে এবং আইএমএফ এর ঋণের উপর ভর করেই চলছে'।
তিনি বলেন, সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতার জন্য আর্থিক খাতের সংস্কার সাধন অত্যাবশ্যক। টেকসই অর্থনীতির প্রয়োজনে, সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার উন্নতি এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করা দরকার। কর-শুল্ক, আর্থিক খাত, ব্যাংকিং সেক্টর, বাজেট ব্যবস্থাপনা এবং বাণিজ্য নীতির সংস্কার আবশ্যক। এজন্য প্রয়োজন দুর্নীতিমুক্ত আইনের শাসন এবং প্রকৃত অর্থেই জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত একটি গণতান্ত্রিক সরকারব্যবস্থা। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি আশা করে বাংলাদেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও আর্থিকখাতে কার্যকর সংস্কার সাধনে একটি প্রকৃত গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য আইএমএফ বিশেষ সহযোগিতার হাত বাড়াবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার গত একমাসে দুইবার বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করেছে। গত সাড়ে ১৩ বছরে গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে ৪০০%। বৃহৎ শিল্পে প্রতি ইউনিট গ্যাসের দাম ১১ টাকা ৯৮ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা করেছে। অর্থাৎ, দাম বেড়েছে প্রায় তিন গুণ। এতে রপ্তানিমুখী শিল্প চ্যালেঞ্জে পড়েছে, অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে ছোট ও মাঝারি শিল্প। গ্যাসের দাম বৃদ্ধি উস্কে দেবে মূল্যস্ফীতি, জীবনযাপন কষ্টকর হয়ে পড়বে।
তিনি বলেন, সরকার বাজেট সহায়তা হিসেবে আইএমএফ এর কাছ থেকে যে ঋণ নিচ্ছে, তার শর্ত পূরণ করতে গিয়ে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি বন্ধের অংশ হিসেবে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। সমন্বয়ের নামে রাতারাতি ভর্তুকি কমিয়ে গ্রাহক পর্যায়ে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম এত বাড়িয়ে শেষপর্যন্ত বোঝাটা জনগণের উপর চাপানো হলো। প্রশ্ন হলো' সরকারের দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার দায় জনগণকে কেন বহন করতে হবে'।
বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, মধ্যবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ আজ দুবেলা খেতে পারছে না। অথচ আওয়ামী লীগ একদিকে শত শত কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে দিচ্ছে, অন্যদিকে টাকা ছাপিয়ে দেশ চালানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, গত দুই মাসে ৫০ হাজার কোটি টাকা ছাপানো হয়েছে। তারা ব্যাংক থেকে টাকা ধার নিয়ে চালাচ্ছে। এটা অব্যাহতভাবে চলতে পারে না। দুর্নীতি ও লুটপাটের মাধ্যমে এই দেশের কোষাগার শূন্যের কোটায় নিয়ে গেছে। একদিকে মেগা প্রজেক্টের নামে লুটপাট করে টাকা বিদেশে পাচার করেছে, অন্যদিকে ব্যাংকগুলো খালি করে দিয়েছে। ডলারের অভাবে এলসি খোলা যাচ্ছে না। লুটপাটের কারণে প্রতিনিয়ত দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে'।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, অর্থনীতি টালমাটাল অবস্থায় আছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ প্রায় তলানিতে এসে ঠেকেছে। এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) ১১২ কোটি ডলার পরিশোধের পর সরকারি হিসাব মতে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছিল ৩২.৫৭ বিলিয়ন বা ৩ হাজার ২৫৭ কোটি ডলার। কিন্তু, আইএমএফ এর হিসাবে এর মধ্যে ৮ বিলিয়ন বা ৮০০ কোটি ডলার ব্যবহারযোগ্য নয় বিধায় রিজার্ভ দাড়ায় ২৪.৫৭ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৪৫৭ কোটি ডলারে। বর্তমানে প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের রিজার্ভ দ্রুত কমে যাওয়ায় অর্থনীতি ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। রিজার্ভ একটু বাড়লে সরকার আত্মতুষ্টিতে নিয়মনীতি ভেঙে রিজার্ভের অর্থ বিভিন্ন প্রকল্পে খরচ করা শুরু করে। অথচ ভুলে যাওয়া হয়েছে যে রিজার্ভের অর্থ বাজেটের কাজে লাগানো উচিত নয়। রিজার্ভ থেকে অনিয়মিতভাবে নানা নামে ৮ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করে ফেলেছে সরকার; এর মধ্যে ৭০০ কোটি ডলার বা ৭ বিলিয়ন দিয়ে রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল ইডিএফ গঠন করে ওই টাকা ঋণের নামে সহজ সুদে দলীয় আশীর্বাদপুষ্টদের দেয়া হয়েছে, যা আর কখনো আদায় করা যাবে না, বা আদায় হবে না।
তিনি আরো অভিযোগ করেন, সরকার নিশ্চিন্ত মনে দলীয় ব্যবসায়ীদের ওভার ইনভয়েসিং করে আমদানির মাধ্যমে দেদারসে বিদেশে অর্থপাচারের সুযোগ করে দেয়। ২০২১-২২ অর্থবছরে অর্থপাচার অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। প্রবাসী আয়ও কমে যেতে থাকে।
বিএনপির মহাসচিব আরো বলেন, কৃত্রিমভাবে টাকার শক্তিশালী অবস্থান দেখিয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুলে চলছিল সরকার। কিন্তু সেই ভ্রান্ত মুদ্রানীতির অসারতা উগ্রভাবে উন্মোচিত হয়ে আজ দেশ চরম ডলার সংকটে পড়েছে। কার্ব মার্কেটে এক ডলারের দাম ৮৬ টাকা থেকে বেড়ে একবার ১১৯ টাকা দাড়ায়। এর আগে কখনোই টাকার মূল্যমান এত হ্রাস পায়নি। কৃত্রিম উপায়ে ডলারের দর নিয়ন্ত্রণ না করে, বাজার দরের ওপর ছেড়ে দিয়ে ক্রমাগতভাবে তা আস্তে আস্তে সার্বিক স্থানে স্থিত হলে আজকের এ সমস্যা হতো না।
তিনি বলেন, একটি রাজনৈতিক গোষ্ঠীর কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। দীর্ঘদিন ধরে ব্যাংক ব্যবস্থায় নজিরবিহীন নৈরাজ্য চলছে। বর্তমানে একরকম অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে যে, এডিআর বা ঋণ আমানত অনুপাত সীমা লংঘন করে অতিমাত্রায় ঋণ পাইয়ে দেয়া হয়েছে বিশেষ গোষ্ঠীকে। ফলে তারল্য সংকটে পড়ে আমানত ফেরত দিতে না পারায় আমানতকারীদের মধ্যে আতংকের সৃষ্টি হয় এবং বিভিন্ন ব্যাংক থেকে আমানত উত্তোলনের হিড়িক পড়ে যায়। ব্যাংকিং খাতে নৈরাজ্য ও মালিক পক্ষের দৌরাত্ম্যের সাথে না পেরে উঠে সম্প্রতি বড় বড় ব্যাংকের এমডিদের পদত্যাগের হিড়িক পড়েছে। যা আমানতকারীদের মনে আরও আতংকের সৃষ্টি করেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট ব্যাংক মালিক গোষ্ঠীর প্রত্যক্ষ মদদে বেশ কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়ে গেছে। এটা নতুন কিছু নয়, এর আগেও ব্যাংক ঋণের নামে অর্থ লুটপাট হয়েছে। এই টাকা আর ফেরত আসবে না।