‘শ্রমিকরা দ্রব্যমূল্যের কষাঘাতে অমানবিক জীবনযাপন করছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১৬:২০
-644e40fa91093.jpg)
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত
শ্রমিকরা ন্যায্য মজুরি পাচ্ছে না-উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দ্রব্যমূল্যের কষাঘাতে তারা অমানবিক জীবনযাপন করছে। আজ রবিবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে মে দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা জানান।
মহান মে দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ও বিশ্বের সব শ্রমজীবী মেহনতি মানুষকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে তাদের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন বিএনপির মহাসচিব।
তিনি বলেন, বিশ্ব ইতিহাসে মে দিবস একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক দিন। শ্রমিকের ন্যায্য দাবি ও শ্রমের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে আমেরিকায় শিকাগো শহরে ১৮৮৬ সালের মে মাসে রচিত হয়েছিল এক রক্তমাখা ইতিহাস। শোষকদের বিরুদ্ধে শোষণ ও বঞ্চনার শিকার প্রতিবাদী শ্রমিকদের আত্মাহুতির রক্তাক্ত পথে সারাবিশ্বে শ্রমিকদের দৈনিক ৮ ঘণ্টা কাজের ন্যায্য অধিকার স্বীকৃতি পেয়েছিল।
মির্জা ফখরুল বলেন, সকল শ্রমজীবী-কর্মজীবী মানুষের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। তাদের অধিকার ও মর্যাদা সুরক্ষায় আমরা সর্বদা সচেতন ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। সমাজ প্রগতির পতাকাবাহী শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে আমরা সংকল্পবদ্ধ। শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি সবসময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। আগামীতেও আমরা একইভাবে শ্রমজীবী-কর্মজীবী মানুষের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাবো।
তিনি বলেন, মহান মে দিবস ঐতিহাসিকভাবে একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিন। শ্রমজীবী মানুষের রক্তঝরা ঘামেই বিশ্ব সভ্যতার বিকাশ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির নতুন দিগন্ত উম্মোচিত হয়। শ্রমিকের ঐতিহাসিক অবদানের ফলেই বিশ্ব অর্থনীতি চাঙ্গা হয়। মে দিবসে এবারের প্রতিপাদ্য ‘নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর কাজের পরিবেশ হতে হবে কর্মক্ষেত্রের মৌলিক নীতি ও অধিকার’-মে দিবসে এই নীতি বাস্তবায়ন করতে গণতন্ত্র পুণরুদ্ধার জরুরি। অথচ আজও বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে নিপীড়িত শ্রমিকরা তাদের এই ন্যায্যতা ও অধিকার থেকে বঞ্চিত।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি শ্রমিকদের ন্যায্য দাবির প্রতি সম্মান ও শ্রমের মর্যাদা সম্পর্কে সব সময় আপোষহীন সংগ্রাম করে গেছে। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায় এবং তা রক্ষায় এই দলটি প্রতিশ্রুতি পালনে কখেনোই পিছ পা হয়নি।