
খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার এন্ডোসকপি করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার (২ মে) সন্ধ্যায় তার এন্ডোসকপি সম্পন্ন হওয়ার পর ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
বিএনপি নেত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বুধবার (৩ মে) এ তথ্য জানিয়েছেন।
জানা গেছে, বুধবার সন্ধ্যার পর খালেদা জিয়ার বিভিন্ন রিপোর্ট পর্যালোচনা করেছে মেডিকেল বোর্ড। চিকিৎসকরা বলেছেন, তিনি বৃহস্পতিবার হাসপাতাল ছাড়তে পারবেন।
খালেদা জিয়া রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সেখানে তিনি অধ্যাপক সাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন আছেন।
এর আগে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ২৯ এপ্রিল রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের যান খালেদা জিয়া। নিয়মিত চেকআপ করার পর বাসায় ফেরার কথা থাকলেও তার মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে রাতেই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
খালেদা জিয়া বহু বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। ২০২১ সালের এপ্রিলে তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। নানা শারীরিক জটিলতায় ওই বছরের ২৭ এপ্রিল খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
একপর্যায়ে তাকে সিসিইউতে নেয়া হয়। প্রায় দুই মাস তিনি সিসিইউতে ছিলেন। ১৯ জুন বাসায় ফেরেন। এর মধ্যে করোনার টিকা নেয়ার জন্য খালেদা জিয়া দুই দফায় মহাখালীর শেখ রাসেল ন্যাশনাল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হাসপাতালে যান। ১৯ জুলাই করোনার প্রথম ডোজ টিকা নেয়ার পর ১৮ আগস্ট দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেন তিনি।
গত বছর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তার ‘পরিপাকতন্ত্রে’ রক্তক্ষরণ এবং লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার কথাও জানান চিকিৎসকরা।
দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে খালেদা জিয়া ২০০৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান। করোনা মহামারীর প্রেক্ষাপটে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার শর্ত সাপেক্ষে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়। এ পর্যন্ত ছয় দফায় খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। ফলে তিনি তার গুলশানের বাসায় অবস্থান করছেন।
উল্লেখ্য, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকায় এভারকেয়ার হাসপাতালে যান বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।