দায়িত্বহীনভাবে সরকার ছয় দেশের কূটনীতিকদের অতিরিক্ত প্রটোকল প্রত্যাহার করেছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা  ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এতে সঙ্কট সৃষ্টি হবে। এটা বাংলাদেশের সাথে আন্তজার্তিক সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত করবে। এ সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। এটা সুখকর কিছু বয়ে আনবে না।

তিনি বলেন, দেশে কূটনৈতিকদের প্রটোকল প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশকে এক ঘরে করে দেবে। সরকার শঙ্কিত হয়ে পশ্চিমা বিশ্বের সমালোচনা করছে। ত্রিদেশীয় সফরের পর প্রধানমন্ত্রী চিন্তিত হয়ে পড়েছেন।

আজ মঙ্গলবার (১৬ মে) নয়াপল্টনে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক যৌথ সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

গণতন্ত্রকে বাদ দিয়ে উন্নয়ন কখনো টেকসই হতে পারে না মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, গণতন্ত্রকে বাদ দিয়ে উন্নয়ন কখনো টেকসই হতে পারে না। উন্নয়ন সম্পর্কে সরকারের ধারণা নেই। উন্নয়ন হচ্ছে আর্থিক অবস্থার পরিবর্তন, জীবন ধারণের উন্নয়ন, জনগণ স্বাধীনভাবে রাষ্ট্রে বসবাস করতে পারছে কিনা, শিক্ষা, চিকিৎসা পাচ্ছে কিনা, জাতি শান্তিময় পরিবেশে বসবাস করতে পারছে কিনা? এক্ষেত্রে জাতি নিম্ন পর্যায়ে চলে গেছে।

সংসদ থেকে বিএনপি এমপিদের পদত্যাগ করা সঠিক নাকি ভুল ছিল প্রশ্ন করা হলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সংসদ থেকে বের হয়ে আসা বিএনপির সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল। আর নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে আওয়ামী লীগ কী করবে এটা নিয়ে ভাবছে না বিএনপি।

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক আমান উল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহবায়ক আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য তারিকুল ইসলাম তেনজিং, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।