আওয়ামী লীগ নেতা আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত
আসন্ন বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত। তাকে ঘিরে ক্ষমতাসীন দলের নিষ্ক্রিয় হয়ে থাকা একটি অংশ নতুন করে সক্রিয় হতে শুরু করেছে।
সেই সাথে রাজনীতিতে কোনঠাসা হতে শুরু করেন বর্তমান সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ অনুসারী আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। তবে নির্বাচনকে ঘিরে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নতুন বার্তায় প্রাণ সঞ্চার হয়েছে এসব নেতাকর্মীদের। কেন না বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকাকে জেতানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আবুল হাসানাত আবদুল্লাহকে।
সিটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় টিম গঠন করা হয়েছে। আর সেই টিমের লিডার করা হয়েছে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির জ্যেষ্ঠ সদস্য ও মেয়র প্রার্থীর বড়ভাই আবুল হাসানাত আবদুল্লাহকে।
তাকে টিম লিডার করে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় টিম ঘোষণার খবরে স্বস্তি ফিরেছে নির্বাচনের মাঠে কোনঠাসা হয়ে থাকা সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ অনুসারী আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মাঝে।
সেই সাথে নির্বাচন ঘিরে আওয়ামী লীগের স্থানীয় রাজনীতির পূর্বের যতো হিসেবনিকাশ তা পাল্টে যাচ্ছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
আজ বুধবার (১৭ মে) রাতে ঘোষণা হওয়া আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় টিমে আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ ছাড়াও দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিমকে সমন্বয়ক ও বরিশাল বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেনকে যুগ্ম-সমন্বয়ক করা হয়েছে।
এছাড়া আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. সিদ্দিকুর রহমান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আনিসুর রহমান এবং গোলাম কবীর রাব্বানী চিনুকে টিমের সদস্য করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বরিশাল বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, ইতোপূর্বে বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন পরিচালনায় কমিটি ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত।
সেই কমিটির কোথাও আবুল হাসানাত আবদুল্লার নাম না থাকলেও পরবর্তীতে নির্বাচন পরিচালনায় গঠন করা উপদেষ্টা কমিটির প্রধান করা হয় তাকে।
আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে ঘিরে একটি পক্ষ দলের মধ্যে বিভাজনের সৃষ্টি করেন। যাদের মধ্যে রয়েছেন কিছু বিতর্কিত নেতা। যারা নৌকার প্রার্থীর কাঁধে ভর করে ক্ষমতা দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। এরই মধ্যে বাস টার্মিনাল, শ্রমিক ইউনিয়ন এবং বিএম কলেজ ছাত্র সংসদ নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন তারা।
তবে নতুন করে কোনো অঘটন এবং বিতর্ক সৃষ্টির আগেই বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় টিম ঘোষণায় দলে বিভাজন সৃষ্টিকারীদের পরিকল্পনায় ঘোল ঠেলেছে বলে মনে করছেন নেতাকর্মীরা। তাদের দাবি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের এই সিদ্ধান্ত নির্বাচনকালীন স্থানীয় রাজনীতি এবং নৌকার বিজয়ে ভূমিকা রাখবে।