
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাময়িক বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীর আলম।
নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাময়িক বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেছেন, বিনাকারণে দুদককে ব্যবহার করে তাকে হয়রানি করা হচ্ছে।
আজ রবিবার (২১ মে) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশনে ২০১৮ সালে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তিন বছরের মাথায় ঢাকা থেকে একটি অবৈধ চিঠি দিয়ে আমার মেয়র পদ খারিজ করে দিয়েছেন। এটি একটি জনপ্রতিনিধির জন্য কতটুকু আইনের মধ্যে পরে। জনপ্রতিনিধির চেয়ারে নাই বসতে পারে, তাহলে জনগণের ভোট করার দরকার নাই।
জাহাঙ্গীর বলেন, আমি মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পরে মেয়রের সম্মানি ভাতা, অফিসিয়াল খরচ, গাড়ির তেল খরচ তিন বছরে গ্রহণ করি নাই। আমি বিনা অর্থে মানুষের সেবা দিয়েছি।
দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে বলেন, আমাকে ৭০০ ও ৮০০ কোটি টাকা দুটি প্রজেক্ট দিয়েছিলো সরকার। দুই প্রজেক্টে মাত্র ৬০০/৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। একটি চক্র আমার বিরুদ্ধে দুদক এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের বানোয়াট, কাল্পনিক চিঠি দিয়েছে। যেখানে সিটি করপোরেশনকে ৬/৭শ’ কোটি কাটা বরাদ্দ দিয়েছে মন্ত্রণালয়। সেখানে কিভাবে সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা আত্মসাত হয়? আবার সেই চিঠি কিভাবে মন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন দপ্তর তদন্ত করে? যারা এই বানোয়াট মিথ্যা চিঠি দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা না নিয়ে হয়রানিমূলকভাবে বিভিন্ন দপ্তর এবং বিভিন্ন শাখা আমাকে মানসিকভাবে টর্চার করছে।
তিনি বলেন, গাজীপুর সিটি নির্বাচনের প্রচারণা চলছে। আমার মা সেখানে প্রার্থী হয়েছেন। আমি তার নির্বাচনের প্রধান সমন্বয়ক। প্রচারণা শেষ সময়ে আমাকে হঠাৎ করে দুদকে ডাকা হলো। আমি যেনো সকাল ১০টার মধ্যে দুদক কার্যালয়ে উপস্থিত থাকি। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রাখি এবং ন্যায় বিচারের স্বার্থে এখানে আসছি। দুদককে ব্যবহার করে তৃতীয়পক্ষ বা কোনো পেশিশক্তি আমার মতো একজন জনপ্রতিনিধিকে যেনো হয়রানি করা না হয়। দুদকে যারা আছেন তারা সবাই উচ্চশিক্ষিত। তাদের কাছে আবেদন করছি, কোনো ভাবে যেনো হয়রানি না করা হয়। আমার কাজের পুরস্কার না দিয়ে যারা মিথ্যা চিঠি চালাচালি করেছে তাদেরকে শাস্তি না দিয়ে আমাদের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। এটা আগামীতে কারোর জন্য মঙ্গল হবে না। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আছেন তিনি টাকা পাচার করে আমেরিকা স্থায়ী বসবাস করছেন।
জাহাঙ্গীর বলেন, একমাস সময় চেয়েছি। আমি নির্দোষ। আমাকে বিনাকারণে হয়রানী করা হচ্ছে। এখনো সময়ের বিষয়ে দুদক থেকে কিছু বলা হয়নি।