-647356ba635dc.jpg)
কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের যৌথসভা। ছবি: সংগৃহীত
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কোনো অবস্থাতেই আক্রমণকারী হবেন না। কারণ বিএনপি এখন যে কোনোভাবে দেখাতে চায় যে আমরা আক্রমণকারী।
আজ রবিবার (২৮ মে) বিকেলে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখা এবং সহযোগী সংগঠনগুলোর সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের যৌথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মার্কিন ভিসা নীতিতে বলা হচ্ছে যে বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার জন্য। ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন করার অন্তরায়, কেউ যেন বাধা না দিতে পারে এই কারণে মার্কিন ভিসা নীতি। এই কারণে আমাদের মাথাব্যথার কোনও কারণ নেই।
তিনি বলেন, যারা ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশনে বাধা দেবে তাদের বিরুদ্ধে ভিসা নীতি প্রয়োগ করবে। অথচ তারা ঘোষণা করে বাধা দিচ্ছে। কেরানীগঞ্জে যে নাটক সাজালো, আওয়ামী লীগের অফিস আক্রমণ করে ভাঙচুর করলো, নাটক সাজিয়ে ইচ্ছা করে ওখানে গোলমালের সৃষ্টি করলো। খাগড়াছড়িতেও তাই, আমাদের অনেক কর্মী আহত হয়ে হাসপাতালে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, তাদের (বিএনপি) এটা লক্ষ্য, অথচ তারা বোঝাতে চায় যে আওয়ামী লীগ বাধা দিচ্ছে। সেজন্য আপনাদের বলি আমাদের শান্তি সমাবেশ নির্বাচন পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ থাকুক।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, কোনো অবস্থাতেই আক্রমণকারী হবেন না। কারণ বিএনপি এখন যে কোনোভাবে দেখাতে চায় যে আমরা আক্রমণকারী। কেরানীগঞ্জের ঘটনায় আক্রমণকারী তারা। অথচ তারা বিদেশিদের কাছে প্রচার করেছে যে আক্রমণকারী হচ্ছে আওয়ামী লীগ। কাজেই কোনও অবস্থাতেই মাথা গরম করবেন না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ আমাদের সঙ্গেই আছে। গাজীপুরে আমরা কিছু ভোটে হেরে গেছি। কিন্তু নির্বাচন গনতান্ত্রিক, অবাধ হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে দেশে বিদেশে কেউ কিছু বলতে পারেনি। আমরা আমাদের গণতন্ত্রকে জয়ী করেছি সুষ্ঠু এবং অবাধ নির্বাচন করে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সামনেও বরিশাল, খুলনা এবং রাজশাহীতে ইলেকশন আছে। এই নির্বাচনগুলোও অবাধ এবং সুষ্ঠু হবে। শেখ হাসিনা সরকারের নীতি হচ্ছে ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন করতে হবে। জনগণ ভোট দিলে আছি, ভোট না দিলে নেই। আমরা আমাদের এই নীতিতে অটল থাকবো।
আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নিজেরা নিজেদের সঙ্গে লড়াই করলে দল ক্ষতিগ্রস্ত হবে। চায়ের দোকানে বসে নিজের দলের লোকের নামে গীবত করবেন, এটা আওয়ামী লীগ নয়। আওয়ামী লীগের কোনও কর্মী-নেতা তা করতে পারে না। যারা প্রার্থী আছেন, একসঙ্গে জনসংযোগ করে নৌকার পক্ষে ভোট চাইবেন। আমাদের নেত্রী, মনোনয়ন বোর্ড যাকে মনোনয়ন দেবে, তার পক্ষে কাজ করবেন। আমরা শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী রাখবো, নিজেরা ঐক্যবদ্ধ থাকবো। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে শেখ হাসিনা শক্তিশালী হবে।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, নেত্রীর নির্দেশ সব জেলা, মহানগর, ইউনিয়ন, প্রয়োজনে ওয়ার্ড পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত রাখবো। আপনাদের আবার স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি, যেহেতু আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই, সেজন্য এই শান্তি সমাবেশ। কারও সঙ্গে পাল্টাপাল্টি মিটিং, সমাবেশ করা আমাদের রাজনীতি নয়।
যৌথ সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুরসহ মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ এবং সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকেরা।