Logo
×

Follow Us

রাজনীতি

‘নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন’ সাবেক ২ কাউন্সিলর মিজান-রাজীব

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ মে ২০২৩, ২৩:৫৫

‘নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন’ সাবেক ২ কাউন্সিলর মিজান-রাজীব

সংবাদ সম্মেলনে সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান মিজান ও তারেকুজ্জামান রাজীব। ছবি: সাম্প্রতিক দেশকাল

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের তোফায়েল আহমেদ জোসেফ, হারিস আহমেদ ও আনিস আহমেদকে শীর্ষ সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে হত্যার হুমকি ও নৃশংসতার অভিযোগ এনেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক দুই কাউন্সিলর। 

আজ রবিবার (২৮ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ আনেন সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান মিজান ও তারেকুজ্জামান রাজীব। 

তাদের অভিযোগ, একজন প্রভাবশালী ব্যক্তির সরাসরি ইন্ধনে গ্রেপ্তার করা হয় তাদের। জেল থেকে বের হয়েও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তারা। তাদের নানাভাবে হয়রানি ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

সাবেক ২ কাউন্সিলররা আরও জানান, জোসেফ-হারিস পরিবারের সদস্য আসিফ আহমেদকে কাউন্সিলার করার জন্য পরিকল্পিতভাবে সাজানো মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করানো হয়। তিন বছর জেলে থাকার কারণে জীবন থেকে মূল্যবান সময় নষ্ট হয়েছে জানিয়ে তারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে জড়িত বিশেষ মহলের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর 

তারেকুজ্জামান রাজীব বলেন, আমার সাফল্য দেখে ঈর্ষান্বিত হয় ঢাকার সন্ত্রাসীগোষ্ঠী তোফায়েল আহমেদ জোসেফ, হারিস আহমেদ ও আনিস আহমেদেরা। তাদের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য ২০১৯ সালের অক্টোবরে আমাকে গ্রেপ্তার করানো হয়।

তিনি বলেন, নব্বই দশক থেকে জোসেফ-হারিস পরিবারের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের পুরনো অভয়ারণ্য মোহাম্মদপুর। সেই এলাকার একজন কাউন্সিলর ছিলাম আমি। এখন আমার জায়গায় তাদের ভাতিজা আসিফ আহমেদকে কাউন্সিলর বানাতে পরিকল্পিতভাবে আমাকে গ্রেপ্তার করানো হয়।


রাজীব অভিযোগ করে বলেন, আমাকে আটকের পর রাতভর আমার বাসা ও অফিসে তল্লাশি চালানো হয়েছে। অভিযান শেষে অভিযান পরিচালনাকারী দল গণমাধ্যমকে জানিয়েছিল, আমার কোনো ক্যাসিনো সম্পৃক্ততা নেই।

মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান মিজান বলেন, ২০১৯ সালে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের সময় আমার বিরুদ্ধে সাজানো সব অভিযোগ আনা হয়। এমনকি আমার নামও বদলে দেওয়া হয়। আমার নাম দেওয়া হয়- মিজানুর রহমান ওরফে পাগলা মিজান। অথচ আমার নাম হাবিবুর রহমান মিজান।

একজন প্রভাবশালী ব্যক্তির সরাসরি ইন্ধনে ও শীর্ষ সন্ত্রাসী জোসেফ-হারিস-আনিসের মদদে গ্রেপ্তার করা হয় বলে তিনি সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন।

তিনি আরও বলেন, আমাকে গ্রেপ্তারের মূল কারণ হলো সন্ত্রাসী জোসেফ গংরা মোহাম্মদপুর এলাকায় আবারও তাদের পুরনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করতে চায়। অথচ আমার ভাই হত্যায় জোসেফের ফাঁসির আদেশ হয়েছিল। রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে জোসেফ প্রাণে রক্ষা পেয়েছিল।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫