বিএনপির বিদ্যুৎকেন্দ্র ঘেরাও মোকাবেলায় প্রস্তুত আ.লীগও

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬ জুন ২০২৩, ১৯:২৫

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
আগামী ৮ জুন বিএনপির বিদ্যুৎ কেন্দ্র ঘেরাও কর্মসূচি শক্ত হাতে মোকাবেলার ইঙ্গিত দিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
আজ মঙ্গলবার (৬ জুন) সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়ের সময় তিনি একথা বলেন।
বিএনপির বিদ্যুৎ কেন্দ্র ঘেরাও কর্মসূচি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি তো আগে বিদ্যুৎ কেন্দ্র জ্বালিয়ে দিয়েছিলো, এবার যদি সেটা করে তাহলে জনগণ তাদেরকে প্রতিহত করবে, উচিৎ শিক্ষা দিবে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও প্রস্তুত আছে।
‘আর তারা তো বিদ্যুৎ দিতে পারেনি। তারেক রহমানের খাম্বা ইন্টারনেশনাল কোম্পানি করে বিদ্যুতের খাম্বা বানিয়েছিলো বিদ্যুৎ না দিয়ে শুধু খাম্বা লাগিয়েছিলো। আমি আশা করবো তারা যখন বিদ্যুৎ কেন্দ্র ঘেরাও করতে যাবে তারেক রহমান যে শুধু খাম্বা দিয়েছিলো সেটিও মাথায় রাখবে।’
চলমান লোডশেডিংয়ের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ২০০৯ সালে সরকার গঠনের সময় দেশের মাত্র ৪০ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় ছিলো। এখন শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায়। এখন মাঝে মধ্যে বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে এটি ঠিক কিন্তু বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেছেন ১৫ দিনের মধ্যে এটা পরিবর্তন হবে।’
বিএনপি ও জামায়াত এক হয়ে দেশে ‘গন্ডগোল’ করার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত তো সবসময় এক আছে। তারা কোনো সময় বিচ্ছিন্ন হয় নাই, মাঝে মধ্যে মৌনতা অবলম্বন করে। নির্বাচনকে সামনে রেখে তারা দেশে গন্ডগোল করার চেষ্টা করবে।
‘সেই গন্ডগোল করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই তারা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সামনে অবস্থান কর্মসূচি দিয়েছে। এটি কোনো সাধারণ রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, গন্ডগোল করার উদ্দেশ্যেই। সেই গন্ডগোল তাদেরকে করতে দেওয়া হবে না। আমরা সতর্ক আছি, বিএনপি-জামায়াতকে কিভাবে মোকাবিলা করতে হয় দেশের জনগণ জানে।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নানা কর্মসূচি ঘোষণা করবে, এটি অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবে জামাত এবং বিএনপির সহিংসতা করার লক্ষ্যেই কর্মসূচি সাজাচ্ছে বলে আমরা মনে করি। তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশে একটি গন্ডগোল করে বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি করা, পানি ঘোলা করা, পানি ঘোলা করে সেখান থেকে মাছ শিকার করা। সেটি করার সুযোগ তারা পাবে না।’