-6484720947dce.jpg)
রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশ। ছবি: সংগৃহীত
দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া আর কোনো নির্বাচন হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। এ দাবি আদায়ে যা যা করা দরকার, তা-ই করা হবে বলে জানানো হয়।
আজ শনিবার (১০ জুন) বিকেলে রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক সমাবেশে দলটির শীর্ষ নেতারা এ কথা বলেন। এসময় তত্ত্বাবধায়ক ইস্যু নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথাও বলেন তারা।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের বলেন, ২০১৪ গিয়েছে যাক, ১৮ (২০১৮) গিয়েছে যাক, ২০২৩ সাল এভাবে আর যাবে না। এবার নির্বাচন হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাই। বেশি কিছু ব্যাখ্যা না দিয়ে শুধু বলব, এবারের নির্বাচন হবে তত্ত্বাবধায়ক, তত্ত্বাবধায়ক, তত্ত্বাবধায়ক এবং
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। সে দাবি আদায় করার জন্য যা করা দরকার, আন্দোলন করা দরকার, সেই আন্দোলন আমরা করব।
নিরপেক্ষ সরকারকে নিরপেক্ষ নির্বাচনের অন্যতম শর্ত বলে দাবি করে এ নিয়ে সংলাপের কথাও বলেন জামায়াতের এই নেতা। সরকারকে উদ্দেশে তাহের বলেন, যদি আওয়ামী লীগ এটা বোঝে, নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়, তাহলে আসুন। নিরপেক্ষ নির্বাচন কীভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হবে, সে নিয়ে আমরা আলোচনা করি। আমার বিশ্বাস তাতে সমস্যার সমাধান হবে।
জামায়াতের কারাবন্দী নেতাদের মুক্তির দাবি জানিয়ে নায়েবে আমির বলেন, আমরা নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবি করতে চাই না, আমরা চাই তাদের মুক্ত করে নিতে। তাই বলছি অবিলম্বে তাদের মুক্তি দিন। না হলে পরিস্থিতি আরও বেশি উত্তপ্ত হবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন, নেতাদের মুক্তি এবং দ্রব্যমূল্য কমানোর দাবিতে এই সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াত। আয়োজক সংগঠনের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে সমাবেশে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ, মাওলানা আবদুল হালিমসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ প্রায় একদশক পর ‘প্রকাশ্যে’ সমাবেশ করার অনুমতি পায় জামায়াত। সমাবেশে নেতাকর্মীদের ঢল নামে। সমাবেশস্থলের সীমানা ছাড়িয়ে রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ে জনস্রোত। এ সময় সমাবেশকে ঘিরে বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়।