
বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত
ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ ভ্রমণ অনুমোদন বা ট্রাভেল পাস হাতে পেয়েছেন। গতকাল সোমবার (১২ জুন) বিকেলে আসামের গুয়াহাটিস্থ বাংলাদেশ সহকারি হাইকমিশনারের কাছ থেকে ট্রাভেল পাস গ্রহণ করেছেন তার প্রতিনিধি।
সোমবার সন্ধ্যায় গুয়াহাটিস্থ বাংলাদেশ মিশনের সহকারি হাইকমিশনার রুহল আমিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সোমবার বিকেল ৫টার দিকে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদের একজন প্রতিনিধি আমাদের অফিসে এসে তার ট্রাভেল পাস নিয়ে গেছেন।
ট্রাভেল পাসের বিষয়ে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, হ্যাঁ, পারমিট পেয়েছি। এখন ভারতীয় সরকারের কিছু প্রক্রিয়া আছে সেগুলো শেষ করে ভারতে চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফিরবো।
তিনি বলেন, বিগত ৫ বছর ধরে আমি চিকিৎসার বাইরে। আমার দুটো মেজর অপারেশন হয়েছে। একটা ২০১৭ সালে অন্যটা ২০১৬ সালে। কিডনি ও হার্টে। আমার হার্টের কন্ডিশন ভালো না, তার ওপর ডায়াবেটিসের নানান জটিলতা আছে। ৫ বছর ধরে তো কোথাও মুভ করতে পারিনি। তাই আমি চাচ্ছি, কাগজপত্র পেলে চেকআপ করিয়ে তারপর যেতে। দেশে আসলে পরিস্থিতি কেমন হবে, চিকিৎসা কেমন হবে সেটা তো নিশ্চিত নয় তাই চেকআপ করিয়ে যেতে চাই।
২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাতে ‘নিখোঁজ’ হন সালাহউদ্দিন আহমেদ। সে সময় তার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, রাজধানীর উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরের ১৩/বি নম্বর সড়কে ৪৯/বি নম্বর বাড়ির, ২/বি নম্বর ফ্ল্যাট থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে সালাহউদ্দিনকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এরপর দুই মাস নিখোঁজ থাকার পর ভারতের শিলংয়ে তাকে উদ্ধার করে সে দেশের নিরাপত্তা বাহিনী।
উদ্ধারের পর সালাহউদ্দিনের বিরুদ্ধে দেশটিতে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে মামলা হয়। প্রায় সাড়ে তিন বছর মামলার কার্যক্রম চলার পর ২০১৮ সালের ১৩ আগস্ট বিচারিক প্রক্রিয়া শেষ হয়। এরপর ওই বছরের ২৬ অক্টোবর নির্দোষ হিসেবে রায় পান সালাহউদ্দিন আহমেদ।