নিবিড় পর্যবেক্ষণে খালেদা জিয়া, সন্ধ্যায় বসবে মেডিকেল বোর্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৩ জুন ২০২৩, ১৭:০৯

খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৩ জুন) মঙ্গলবার এই তথ্য জানিয়েছেন চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান।
এর আগে দুপুরে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমে জানান, সোমবার (১২ জুন) রাতে খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেয়া হয়। কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি হাসপাতালের কেবিনে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। তার অবস্থা স্থিতিশীল। আজ সন্ধ্যার পর খালেদা জিয়ার পরবর্তী চিকিৎসা বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে মেডিকেল বোর্ড বসবে।
বিএনপি চেয়ারপারসন দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্ট নিয়ে একটি মেডিকেল বোর্ড পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে। তখন গণমাধ্যমকে ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) শারীরিক অবস্থা নিয়ে ব্রিফ করব।’
বিএনপির একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, খালেদা জিয়ার শরীরে জ্বর ও ব্যথা রয়েছে। এক্সরে ও আল্ট্রাসনোগ্রাম করানো হয়েছে। চিকিৎসকদের পরামর্শে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালের ৭ম তলায় (কেবিন নং ৭২০৩ ও ৭২০৪) নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।
দুপুরের দিকে খালেদা জিয়ার সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে তার একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার জানান, আমি হাসপাতালে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। কিছু সময় আগেই হাসপাতাল থেকে বাসায় এসেছি। যতক্ষণ হাসপাতালে ছিলাম, ম্যাডামের অবস্থা মোটামুটি স্থিতিশীল দেখেছি। আজ সন্ধ্যায় অনেকগুলো পরীক্ষার ফলাফল পাওয়া যাবে। এসব পরীক্ষার ফলাফল পাওয়ার পর ম্যাডামের চিকিৎসক দল পরবর্তী চিকিৎসার বিষয়ে তাদের সিদ্ধান্ত জানাবেন।
হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে গতকাল সোমবার (১২ জুন) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সর্বশেষ গত ২৯ এপ্রিল নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া। পাঁচ দিন পর তিনি মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে বাসায় ফেরেন।
দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি জটিলতা ও লিভারের রোগ, হৃদরোগে ভুগছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। ২০২১ সালের এপ্রিলে কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে কয়েকবার নানা অসুস্থতা নিয়ে তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছিল।
গত বছর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তার পরিপাকতন্ত্রে রক্তক্ষরণ ও লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা।