চারদিক থেকে সরকারের বিরুদ্ধে অন্ধকার ধেয়ে আসছে: রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৩, ১৪:২৪
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, এবার আর যেনতেন নির্বাচন করতে পারবে না। চারদিক থেকে সরকারের বিরুদ্ধে অন্ধকার ধেয়ে আসছে। সরকারের জন্য ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত চলছে।
আজ শুক্রবার (৩০ জুন) নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, আজকে অবহেলিত, বঞ্চিত, নির্যাতিত, নিপীড়িত জনগণ গ্রাম থেকে শহরে সবপর্যায়ের মানুষ জেগে উঠতে শুরু করেছে। স্বৈর রুদ্রশাসনের যাঁতাকলে পিষ্ট হয়েও জনগণ নিপীড়কদের প্রতিহত করতে শুরু করেছে। দেশের মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ।
রিজভী আরো বলেন, আজ দেশে গণতন্ত্রের সংকটকে আড়াল করতে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরির চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে তথাকথিত আওয়ামী বুদ্ধিজীবী, কলামিস্টসহ উচ্ছিষ্টজীবীরা। বর্তমান গণতন্ত্র সংকটের প্রতিপক্ষ হিসেবে ‘বাঙ্গালি জাতি, বাঙ্গালি সংস্কৃতি’ ইত্যাদি অকারণে বাগাড়ম্বর তুলে অবৈধ সরকারকে বৈধতা দানের এক মরিয়া প্রয়াসে লিপ্ত রয়েছে তারা।
এবারের কোরবানির ঈদে মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই উল্লেখ করে বিএনপির এ নেতা বলেন, ঈদের জন্য ঘরে ফেরা মানুষদের যানজটে প্রচণ্ড দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। ঈদের আগে বাড়ির উদ্দেশে যেদিন রওনা দিয়েছে, তার পরের দিন সন্ধ্যায় বা মাঝরাতে বাড়িতে পোঁছেছে। কেউ কেউ গতকাল ঈদের দিনেও বাড়ি পৌঁছেছে।
রিজভী আরো দাবি করেন, এবারের কোরবানির ঈদে জনগোষ্ঠীর অধিকাংশ মানুষের দিন কেটেছে নিরানন্দে। নিম্নআয়ের মানুষ বাড়ি-বাড়ি গিয়ে ২-৩ টুকরো মাংস চেয়ে কয়েক কেজি হওয়ার পর তার থেকে সামান্য অংশ রেখে বাকিটা বিক্রি করে দেয় মাংস রান্নার মসলা কেনার জন্য। এ দৃশ্য মর্মান্তিক ও বেদনাদায়ক।
বিএনপি নেতা বলেন, ঈদের মধ্যেও আওয়ামী সন্ত্রাসের কোনো কমতি নেই। সশস্ত্র মহড়া থেকে শুরু করে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে। গোপালগঞ্জের মকসুদপুরে বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিমের ঈদ শুভেচ্ছার পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলে। সংবাদ পেয়ে সেখানে বিএনপি নেতাকর্মীরা সেখানে গেলে তাদের ওপর যুবলীগ, ছাত্রলীগ সশস্ত্র হামলা চালায়। এতে বেশকয়েকজন বিএনপি নেতাকর্মী আহত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবি-উন নবী খান সোহেল, স্বেচ্চাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর শরাফত আলী সপু, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, ঢাকা জেলার সভাপতি খন্দকার আবু আসফাক, ঢাবির অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য তারিকুল ইসলাম তেনজিং প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।