অর্ধ পাগল-অর্ধ শিক্ষিত হিরো আলম ছাড়া আওয়ামী লীগের বিপক্ষে লড়ার মতো কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

আজ মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) বিকেলে রাজশাহী মহানগর ও জেলা বিএনপির আয়োজনে পদযাত্রার কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের এতটাই দুঃসময় এসেছে যে , হিরো আলমের মতো অর্ধ পাগল ও অর্ধ শিক্ষিতকে পেটাতে হয়। কারণ আজ আওয়ামী লীগের হিরো আলম ছাড়া প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। কারণ এই সরকারের অধীনে কেউ নির্বাচন করতে চায় না।

তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ নানা আইনকানুন তৈরি করে এই সরকার গোটা জাতিকে বন্দি করে রেখেছে। আজকে জনপদের পর জনপদ, এলাকার পর এলাকায় শেখ হাসিনা মাফিয়া তৈরি করেছেন, কোনো রাজনীতিবিদ নয়। তার বড় প্রমাণ আমেরিকায় শামীম ওসমানের সঙ্গে ঘটনার পর বাংলাদেশের এক প্রবাসী যুবকের বাড়িতে হামলার ঘটনা।

ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচন নিয়ে এই বিএনপি নেতা বলেন, ভোটকেন্দ্রে ভোটার থাকে না, কেন্দ্রের সামনে কুকুর ঘুমায়। কতবড় কাপুরুষ আরাফাত ভোটারবিহীন ঢাকা-১৭ এর উপনির্বাচনের পর ভি (জয়ের) চিহ্ন দেখায়।

দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নির্বিচারে মামলা দেওয়ার অভিযোগ করে রিজভী বলেন, আমার বিরুদ্ধে ১৮০টি মামলা। বিএনপির এমন লাখ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে শত শত মামলা। ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে জামিন হয় না। শুধুমাত্র ভিন্ন মত প্রকাশের কারণে অনেকেই আজ জেলে। কাজেই নিজের ও সন্তানের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার জন্য আপনাদেরকে রাজপথে নামতে হবে।

তিনি বলেন, এরশাদ বলে গেছেন, লোকজন বলে আমি নাকি স্বৈরাচার; হাসিনা আমার চাইতেও ভয়াবহ স্বৈরাচার। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে আগামীর আন্দোলন বেগবান করতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু বলেন, চাঁদ ভুল কিছু বলে নাই। চাঁদ জাতীয় বীর হয়ে গেছেন। আওয়ামী লীগের যারা স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন করেছিল তাদেরকে আর দেখি না। যাদেরকে দেখি তারা বালু ব্যবসায়ী।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগে এক সময় যাদের ব্যাংকে ৯ হাজার টাকাও ছিল না, তারা এখন বিলিয়নিয়ার। এই হচ্ছে রাজশাহীর উন্নয়ন। আগামী দিনে জনতার স্রোতের মধ্য দিয়ে এই অগণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করা হবে।

অনুষ্ঠানে রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এরশাদ আলী ঈশার সভাপতিত্ব করেন। সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব মামুন-অর-রশিদ।

অনুষ্ঠানে বিএনপির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক শফিকুল হক মিলন, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সৈয়দ সাইয়ুল ইসলাম মার্শালসহ স্থানীয় বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।