
রাজধানীর পল্টনে অবস্থিত গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের তালা। ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর পল্টনে অবস্থিত গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের তালা ভেঙে কলাপসিবল গেট লাগানো হয়েছে। এ সময় দলের নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজনীয়সহ কাগজপত্র চুরি হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় পল্টন থানায় জিডি করতে যাচ্ছে নুরপন্থী গণঅধিকার পরিষদ। আজ বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুর।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, মিয়া মশিউজ্জামান আমাদের কার্যালয়ে গেটের সামনে নতুন আরেকটি কেচিগেট লাগিয়েছে। সেখানে ছাত্রলীগকে পাহারাদার হিসেবে বসিয়েছেন। তাদের হাতে অস্ত্র, আমরা গেলে আমাদের ওপর হামলা করবে। নিরাপত্তাহীনতার কারণে আমরা এখনো কার্যালয়ে যাইনি। যারা কার্যালয়ে গিয়েছেন তাদের মারধর করা হয়েছে, মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়েছে।
নুর বলেন, কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামান আমাদের অফিস দিয়েছিলেন। তিনি এখন দল করেন না, তাই চুক্তি অনুযায়ী অফিস ভাড়া দেবো। প্রথম দিকে তিনি নমনীয় ছিলেন। কিন্তু সরকারের বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে আমাদেরকে নানাভাবে হয়রানি শুরু করেন।
এদিকে দলের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল পল্টন থানায় যাচ্ছে জিডি করতে। পুলিশের সহযোগিতায় তারা কার্যালয় প্রবেশ করতে চান। তবে সহযোগিতা না পেলে রক্ত দিয়ে, ঘাম দিয়ে কার্যালয়ের স্বাভাবিক কাজ চালাবো হবে বলেও জানান নুর।
নুর বলেন, আমরা অফিস ভাড়া নিয়েছি, এখন যদি মালিক ভাড়া দিতে না চায় তাহলে চুক্তি অনুযায়ী ৬ মাস সময় দিক, আমরা নতুন অফিসে চলে যাবো।
এদিকে এক ভিডিও বার্তায় অফিসের মালিক মিয়া মশিউজ্জামান বলেন, জামান টাওয়ারে গণ অধিকার পরিষদের অফিসে ঘর ছাড়ার যে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল এবং ১৭ মাসের ভাড়া বাকি থাকার কারণে তাদেরকে বলা হয়েছিল ঘর ছেড়ে দিতে। তারা সেটা শুনেননি। এজন্য প্রথমে তাদের বিদ্যুৎ লাইন কাটা হয় এবং মৌখিকভাবে তাদের ঘর ছেড়ে দেওয়ার জন্য আবারও অনুরোধ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, তখন তাদের পক্ষ থেকে ফেসবুক লাইভে বা পাবলিক মিটিংয়ে আমার ওপর নানা রকম বিষোদগার করা হয়। এই ঘরের মালিকানা নিয়ে তারা প্রশ্ন তুলেন এবং একপর্যায়ে নুর ঘোষণা দেন যে, এটা তারা দখলে রাখবেন এবং আমি জমির মালিকানার দলিল হাজির করতে না পারলে তিনি এ ঘর ছাড়বেন না।