Logo
×

Follow Us

রাজনীতি

তিনবার নির্বাচন করে শুধু মারই খেয়েছি: হিরো আলম

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ জুলাই ২০২৩, ১৮:২৩

তিনবার নির্বাচন করে শুধু মারই খেয়েছি: হিরো আলম

ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনের দিন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের ওপর হামলা। ছবি: ফাইল

আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম বলেছেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনবার নির্বাচন করে আমি শুধু মারই খেয়েছি।

আজ বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) বিকেলে ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের দিন হামলাকারীদের শনাক্তে ডিবি প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে, বিকেল সাড়ে ৩টায় তিনি ডিবি কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। 

হিরো আলম বলেন, আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনবার নির্বাচন করে শুধু মারই খেয়েছি। প্রথমে ২০১৮ সালে, এরপর বগুড়ায়, সেখানে জিতলেও ফল দেয়নি। এবার ঢাকায় উপনির্বাচন করতে এসেও মার খেলাম। 

তিনি বলেন, আমি চেষ্টা করেছি, সুষ্ঠু ভোট হোক, ভোটাররা ভোট দিতে আসুক। কিন্তু মার খেলাম। তাই আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচনে যাবো না।

হিরো আলম বলেন, ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনের দিন শেষ মুহূর্তে আমার ওপর হামলা হয়। সেখানে হামলায় কারা কারা ছিল তাদের শনাক্তের জন্য আমাকে ডাকা হয়েছিল। আমি ডিবির প্রতি কৃতজ্ঞ তারা দ্রুত হামলাকারীদের ধরেছে, যা ভাবতেও পারিনি। আমি ভেবেছিলাম হামলাকারীরা ক্ষমতাশালী দলের লোক, তাদের হয়তো ধরবে না। 

তিনি বলেন, এই হামলায় আমি মারাও যেতে পারতাম। নির্বাচন নির্বাচন করে অনেক মায়ের কোল খালি হয়েছে। যারা ক্ষমতাশালী দলের লোক তারা ঠিকই ক্ষমতা দেখিয়ে সব আদায় করে নেয়। নির্বাচন করতে এসে কোনো মায়ের জন্য বুক খালি না হয়।

হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে হিরো আলম বলেন, আমাকে পছন্দ না হলে আমাকে ভোট দিয়েন না, এড়িয়ে যান। কিন্তু আমাকে মারার অধিকার কাউকে দেওয়া হয় নাই। সেদিন যেভাবে আমাকে মারা হয়েছে- একমাত্র আল্লাহর জন্য আমি বেঁচে আছি। হামলাকারীরা আমাকে পাষণ্ডের মতো মেরেছে, তাদের বিবেকে বাঁধেনি। মাটিতে পড়ে যাওয়ার পরও তারা আমাকে মেরেছে।

হামলাকারীদের রাজনৈতিক পরিচয় সম্পর্কে তিনি বলেন, তাদের গায়ে নৌকার ব্যাচ দেখেছিলাম। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগের কিছু লোকজন ছিল, কিছু ভাড়া করা লোক ছিল। কিছু আওয়ামী লীগের ব্যাচ পড়া ছিল।

দায়িত্ব পালনে পুলিশের ব্যর্থ প্রসঙ্গে হিরো আলম বলেন, আমার ওপর যখন হামলা হয় তখন পুলিশ তাদের দায়িত্ব পালনে সত্যি-ই ব্যর্থ হয়েছিল। পুলিশ ইচ্ছা করলে তাদের কর্তব্য পালন করতে পারতো। প্রথমে একটা ছেলে আমাকে ঘুষি মারে। আমি কিন্তু দৌঁড়ে গিয়ে তাকে বলেছি এই ঘুষি মারলি কেন? 

তিনি আরও বলেন, আমি পুলিশকে বলছি, এই লোকটি আমাকে ঘুষি মেরেছে। পুলিশ কিন্তু তাকে ধরেনি। উল্টো আমাকে ধরে রেখেছিল। পুলিশের উচিত ছিল তাকে ধরা। তাহলে আর কেউ আমার ওপর হাত দিতে পারত না। সেদিন ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশ সদস্যরা কেন নীরবতা পালন করেছিল সেটি আমি জানতে চেয়েছি ডিবি প্রধান হারুন সাহেবের কাছে।

হামলার পর বিভিন্ন দূতাবাস ও কূটনীতিকদের বিবৃতি দেওয়া প্রসঙ্গে হিরো আলম বলেন,   এটাকে আমি সমর্থন করি এবং খুবই ভালোভাবে দেখি। এই যে অন্যায় অত্যাচার হচ্ছে, মায়ের বুক খালি হচ্ছে, বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনার হয়তো চুপচাপ সহ্য করতে পারে। কিন্তু বাইরের দেশ-সময় এক না।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, একটা লোককে কুত্তার মতো পেটানো হয়েছে, ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। সবাই তো আর এক না যে নীরবতা পালন করবে। তারা দেখছে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে, এজন্য তারা কথাবার্তা বলছে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫