বিএনপির মহাসমাবেশকে ইঙ্গিত করে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান বলেছেন, দেশের মানুষের কল্যাণে প্রয়োজনে আত্মাহুতি দেব, তবুও আমরা তাদের হাতে দেশ তুলে দেব না।

আজ বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। 

আগামীকাল শুক্রবার (২৮ জুলাই) বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের শান্তি সমাবেশ নিয়ে তিন সংগঠনের পক্ষে যৌথ এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। একই দিন সরকার পতনের ‘এক দফা’ দাবিতে নয়াপল্টনে মহাসমাবেশ করবে বিএনপি। 

দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি সমাবেশে সহিংসতার আশঙ্কার বিষয়ে জানতে চাইলে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা বিএনপিকে অনুসরণ করছি না, তাদের পাল্টা জবাব দেওয়ার জন্য মাঠে থাকছি না। আমরা মাঠে থাকছি বিএনপির সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে। পৃথিবীর সব দেশেই রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড সহাবস্থানে হয়ে থাকে। এখানে বাধা কোথায়?

শান্তি সমাবেশে যোগ দিতে দেশের সর্বস্তরের তরুণ-যুবসমাজ উন্মুখ হয়ে আছে-উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগামীকালের সমাবেশে এর প্রতিফল ঘটবে। তরুণসমাজের ঢল নামবে। কত লোক হবে, এর হিসাব মেলানো যাবে না।

মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, তরুণ সমাজকে ধ্বংস করেছিলেন জিয়াউর রহমান। তার ছেলে তারেক রহমান তরুণ-ছাত্র সমাজকে ধ্বংস করেছেন। তিনি আবার লন্ডনে বসে যুব সমাজকে ধ্বংসের চেষ্টা করছেন। তারুণ্যের সমাবেশের নামে তারা যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীদের বিভিন্ন জায়গায় হত্যা করছেন।

বাংলার মাটিতে বিএনপি-জামায়াতকে আর স্থান দেওয়া হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, সমাবেশে যোগ দেবে স্বাধীনতাপ্রেমী মানুষ। সব শ্রেণি-পেশার মানুষ আসবে। আমরা ঐক্যবদ্ধ। সবসময় মাঠে ছিলাম, থাকবো। আমরা দেশকে ভালোবাসি, দেশের মানুষকে ভালোবাসি। আমরা সর্বদা প্রস্তুত।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক একেএম আফজালুর রহমান বাবু এবং ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন। এ সময় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের কয়েকশ নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।