নব্বইতে পুলিশের অনুমতি নিয়ে এরশাদবিরোধী আন্দোলন হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আজ রবিবার (৩০ জুলাই) রাতে বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধ পুলিশের অনুমতি নিয়ে হয়নি। নব্বইতে পুলিশের অনুমতি নিয়ে এরশাদবিরোধী আন্দোলন হয়নি। রাজনৈতিক সমাবেশে পুলিশের অনুমতি সংবিধান পরিপন্থী।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলের কাজ হচ্ছে পুলিশকে অবহিত করা, আর পুলিশের দায়িত্ব নিরাপত্তা দেওয়া। 

রিজভী বলেন, সরকার দলীয় সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে বিএনপির শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে রামদা হকিষ্টিক নিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করেছে। যা সকল গণমাধ্যমে ছবিসহ প্রকাশ পেয়েছে। তাদের গ্রেপ্তার না করে উল্টো যাদের ওপর হামলা করা হলো তাদেরকেই আসামি করে মামলা করল পুলিশ।

তিনি বলেন, আজকে তথাকথিত প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন-আগামী অক্টোবরে তফশিল ঘোষণা এবং ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে। তবে এই স্বপ্ন কখনোই বাস্তবায়িত হবে না, শেখ হাসিনা আরেকটি ভোটারবিহীন তামাশার নির্বাচন করার অপচেষ্টা করছে, জনগণ তা হতে দিবে না। 

বিএনপির এই নেতা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে জবাবে বলেন, সরকার নাকি মানবতা দেখিয়েছে! এক বছরে রাজপথে ১৭ জনকে হত্যা করেছেন, তখন কোথায় ছিলো মানবতা? অসংখ্য নেতাকর্মীকে পঙ্গু বানিয়ে দেয়া হয়েছে, কোথায় ছিলো মানবতা? শনিবার বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা করে পুরো রাজধানীকে রক্তে রঞ্জিত করেছেন, কোন মানবতা থেকে?

রিজভী বলেন, গতকালের সরকারি বাহিনীর সহিংস আক্রমণের খবর বিশ্বগণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হলে উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর কৌশল নেয় আওয়ামী দুরাচার সরকার। এখন বিএনপির বিরুদ্ধে অপবাদ দেয়ার জন্য নানা ফন্দি-ফিকির করলেও জনগণ এসব আমলে নেয়নি। বরং সরকারি বাহিনীর নির্যাতনের খবরই জনগণের মুখে মুখে।

সংবাদ সম্মেলনে শনিবার রাজধানীতে পুলিশ ও সরকারি দলের হামলায় আহত ও গ্রেপ্তার নেতাদের তালিকা প্রকাশ করে আটককৃত নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করেন।

দুই দিনে ১১টি মামলায় দারে করে তাতে ৫৪৯ জনকে আসামি করা হযয়েছে। আটক হয়েছে ২৫০ নেতাকর্মীক, আহত হয়েছেন সাড়ে ৬শ জনের বেশি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল প্রমুখ।