‘আমেরিকাকে সকালে গালি, বিকেলে ফুল দেয় আ.লীগ’

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ আগস্ট ২০২৩, ২১:৪৩

চট্টগ্রামে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সকালে আমেরিকাকে গালি দেয়, আর বিকেলে ফুলের তোড়া নিয়ে হাজির হয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
আজ শুক্রবার (৪ আগস্ট) চট্টগ্রাম নগরীর কাজীর দেউড়ি এলাকায় এক প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা করেন। দুর্নীতির মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানকে সাজা দেওয়ার প্রতিবাদে এ কর্মসূচির আয়োজন করে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমেরিকার রাষ্ট্রদূত আওয়ামী লীগের অফিসে গিয়েছিলেন। দেখলাম দলটির নেতারা রাষ্ট্রদূতকে ফুলের তোড়া দিয়ে কী খুশি! একটি দেশের রাষ্ট্রদূত গেছে, এভাবে ফুলের তোড়া দিয়ে, হাসি-খুশি, মনে হয় জীবনে আর দেখেনি।
তিনি বলেন, বিএনপি অফিসে কত রাষ্ট্রদূত গেছে কোনোদিন দেখছেন ফুলের তোড়া নিয়ে দাঁড়াতে? আওয়ামী লীগ সকালে আমেরিকাকে গালি দেয়, বিকেলে ফুলের তোড়া নিয়ে হাজির হয়। আবার যখন তার পরের দিন তারা বুঝে যায়, আমেরিকা তাদের গণতন্ত্রবিরোধী, মানবতা-বিরোধী, ভোট চুরির বিরোধী। আবার তারা তাদের গালি দেয়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, বিএনপি নাকি বিদেশিদের দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে নাক গলাতে দেয়। আপনারা ফুলের তোড়া নিয়ে ওখানে কী গলাতে গিয়েছিলেন? আবার বের হয়ে এসে সুখবর দিচ্ছে রাষ্ট্রদূত এটা বলেনি, ওটা বলেনি। কী আনন্দ! তাহলে কে নাক গলালো? ফুলের তোড়া নিয়ে নাক গলাতে হয়? এই হচ্ছে আপনাদের দূর অবস্থা।
তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমানকে কিছু করতে পারেননি, তাই জোবায়দা রহমানের পেছনে লেগেছেন। এখন শুধু জাইমা রহমানের অপেক্ষায়? এবার জাইমা রহমানকে নিয়ে সরকার কি ওঠে পড়ে লাগবে? বাংলাদেশের মানুষ তাদের অনুপস্থিতে আপনার বিদায়ের ঘণ্টা বাজিয়ে দিয়েছে।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এই সরকার জনগণের কাছে পরাজিত হয়ে বেঁচে থাকার শেষ চেষ্টা করছে। অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি অংশকে সঙ্গে নিয়ে যারা জনগণের লড়াই বন্ধ করার চেষ্টা করছে, আগামী দিনগুলোতে আপনাদের জন্য কঠিন সময় আসছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে। আপনাকে যেতে হবে। আপনি থাকতে পারবেন না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারি একটি অংশকে ব্যবহার করে থাকতে পারবেন না। ঢাকায় ২৮ জুলাই ১৫ থেকে ২০ লাখ মানুষ সমাবেশ করে একটি বার্তা দিয়েছে শেখ হাসিনা বিদায় হও।