কোন খেলায় নেমেছেন আপনারা, মানবাধিকার সংস্থার উদ্দেশে হানিফ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫ আগস্ট ২০২৩, ১৭:৪৭

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ। ছবি: সংগৃহীত
‘কী চান আপনারা? কার পক্ষে, কোন খেলায় নেমেছেন? আপনাদের এই বক্তব্যগুলো মনে হয় সন্ত্রাসী, নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের পক্ষে নির্লজ্জ দালালি ছাড়া আর কিছু নয়। জাতি আপনাদের এসব বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে।’
এভাবেই মানবাধিকার সংস্থাগুলোর কড়া সমালোচনা করলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ।
আজ শনিবার (৫ আগস্ট) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠপুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিরোধীদলের মতপ্রকাশে আওয়ামী লীগ সরকার অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করছে- মানবাধিকার সংস্থাগুলোর এমন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, বিএনপি কয়েক দিন আগে সমাবেশ করার পর ঢাকার প্রবেশমুখ অবরোধ ঘোষণা দিল। তারা অবস্থান নিয়ে রাস্তা বন্ধ করে গাড়ি চলাচল বন্ধ করলেন। এ রকম কর্মসূচি কোন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় আছে। আপনি রাস্তা বন্ধ করে দিলেন এটা তো কোনো কর্মসূচি হতে পারে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গাড়ি চলাচলের ব্যবস্থা করে দিয়েছে, তখন পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। পুলিশের ওপর হামলা করে আহত করে দেওয়া হয়েছে। রাস্তায় গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক করার জন্য পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়েছে। আর সেটির জন্য আজকে মানবাধিকার সংস্থা থেকে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ তারা বলছে- সরকার অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করছে।
তিনি বলেন, আমরা আজকে আহ্বান জানাব, সেই সব বিদেশি সংগঠন, বিদেশি দূত বা যারা আমাদের দেশের নির্বাচন নিয়ে কথা বলছেন, অনুরোধ করব উন্নয়ন সহযোগী দেশ হিসেবে অনেক বিষয়ে আপনাদের কথা বলার সুযোগ আছে। দয়া করে এ ধরনের একজন প্রতিষ্ঠিত সন্ত্রাসী আপনাদের অভিযোগে অভিযুক্ত, কয়দিন আগেও কানাডার ফেডারেল আদালত পঞ্চমবারের মতো সন্ত্রাসী দল হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। এ রকম একটি দল নিয়ে দেশের মধ্যে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করবেন না। দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করতে মদদ দেবেন না, এই অনুরোধ থাকবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠপুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামাল সম্পর্কে হানিফ বলেন, শেখ কামাল ছিলেন তারুণ্যের অহংকার, আমাদের যুবসমাজের অহংকার। তিনি শুধু একজন ছাত্রনেতা নয়; লেখাপড়ার পাশাপাশি একজন দক্ষ ক্রীড়াবিদও ছিলেন। ছাত্রজীবন থেকেই তার ছিল বহুমাত্রিক প্রতিভা। তিনি ছিলেন অত্যন্ত বিনয়ী, নম্র, ভদ্র ও সদালাপী। আমাদের দুর্ভাগ্য শেখ কামাল ২৬ বছর বয়সে ঘাতকদের নির্মম বুলেটের আঘাতে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতির পুত্র হয়েও শেখ কামাল অর্থবিত্তের পেছনে কখনো ছুটেননি। তিনি নিরহংকারী ও নির্লোভ মানুষ ছিলেন। অথচ আজকে আমাদের দেশের সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের পুত্র তারেক রহমান; তাকে যদি দেখি- এই দুটা মানুষের মধ্যে বিস্তর পার্থক্য। ২০০১ থেকে ২০০৬ যখন বিএনপি ক্ষমতায় ছিল, তখন সরকারের মধ্যে সরকার গঠন হয়েছিল। একদিকে তারেক রহমানের মায়ের সরকার, আরেক দিকে হাওয়া ভবন বানিয়ে তারেক রহমানের সরকার। এবং হাওয়া ভবনের সরকারই ছিল সবচেয়ে ক্ষমতাধর।