-64ce38d171fd6.jpg)
গণতন্ত্র মঞ্চের সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব। ছবি: সংগৃহীত
বিরোধীদের ওপর দমন-পীড়ন বন্ধ এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে জাতিসংঘে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষা মিশন বন্ধ হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল–জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব।
আজ শনিবার (৫ আগস্ট) ‘সরকার পতনের এক দফা দাবি আদায়ের কর্মসূচিতে ভাসানী অনুসারী পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ড. আবু ইউসূফ সেলিমসহ গ্রেপ্তারকৃত সব রাজবন্দিদের মুক্তির দাবিতে’ আয়োজিত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আ স ম আব্দুর রব বলেন, দেশে বর্তমানে যে অবস্থা চলছে, তাতে জাতিসংঘে শান্তি মিশন বন্ধ হয়ে যাবে। পাসপোর্ট পাবে না। গরিবের ছেলেরা শান্তিরক্ষা মিশনে গেলে বাড়তি আয়ে তার বাড়িতে বিল্ডিং হয়। এগুলো সব বন্ধ হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে এখন মিয়ানমার, কম্বোডিয়ার সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে। পুলিশের, সরকারের কর্মকর্তাদের ছেলে-মেয়েরা আর বিদেশে পড়ালেখা করতে পারবে না। সব বন্ধ হয়ে যাবে।
জেএসডি সভাপতি বলেন, সরকারি খরচে আওয়ামী লীগ সমাবেশে ভোট চাইছে। আগে পদত্যাগ করেন, তারপর ভোট চান। এই সরকারের অধীনে আমরা কোনো নির্বাচনে যাব না।
আ স ম আব্দুর রব বলেন, আপনারা (আওয়ামী লীগ) জ্বালাও-পোড়াও এর কথা বলেন, দেশের অর্থনীতির কথা বলেন, সেই আপনারাই ৩৬৫ দিনের বছরের ১৭৩ দিন হরতাল করেছেন। হোটেল শেরাটনের সামনে বাসে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করেছে কে? লগি-বৈঠা দিয়ে মানুষ পিটিয়ে হত্যা করেছে কে? গত ৫০ বছরে একটি সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন ব্যবস্থা এই দেশে করা গেল না।
জেএসডির সভাপতি বলেন, যারা লুটেরা, ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজ, যারা লাখ লাখ টাকা দেশ থেকে পাচার করে নিয়ে গেছে, তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেই। লুটেরারা জামিন পায়, কিন্তু খালেদা জিয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী হয়েও জামিন পান না। তার অপরাধ তিনি বেশি জনপ্রিয়, তার সমর্থন বেশি।
আ স ম আবদুর রব বলেন, আজকে দেশটি একটি জাহান্নামে রূপান্তরিত হয়েছে। আজকে একটি মানুষের বিরুদ্ধে একশটি মামলা হয়। ৩০ দিনে মাস হয়,একশ মামলায় হাজিরা দেবে কখন? ভাত খাবে কখন, ঘুমাবে কখন? লাখ লাখ কর্মী আজকে জেলখানায়। সেখানে জায়গা নেই।
তিনি বলেন, এই সরকারের আমলে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ অবাধ নির্বাচন হবে সেটি পাগলেও বিশ্বাস করে না। মানুষ কেন্দ্রে গেলে ভোট দিতে পারে না, ব্যালট বাক্সে দিতে পারে না। গোপন কক্ষে সরকারি দলের লোক দাঁড়িয়ে থাকে। এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া সম্ভব নয়।
আ স ম রব বলেন, সামনে খুব খারাপ দিন আসছে। আমাদের কথায় তো আপসে যাচ্ছেন না। তখন কিন্তু রেহাই পাবেন না। রাস্তা-ঘাটে মানুষ ধরবে আপনাদের। এই সরকার জুলুমবাজ, লুটেরা, খুনি, ডাকাত, দুর্নীতিবাজ, ঘুষখোর। অতএব এদের বিদায় দিতে হবে। সত্য ও ন্যায়ে আন্দোলনে আমরা অবশ্যই জয়লাভ করবো। এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে যেতে হবে।
সমাবেশে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুসহ গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।