বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জাসদকে জড়িয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের বক্তব্যের কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জাসদ।

আজ রবিবার (৬ আগস্ট) দলের কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির পক্ষ থেকে দপ্তর সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানালো হয়। 

এতে বলা হয়েছে, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জাসদকে যুক্ত করে শেখ সেলিমের বক্তব্য রাজনৈতিক দূরসন্ধিমূলক মিথ্যাচার ছাড়া আর কিছুই নয়। তিনি বঙ্গবন্ধুর খুনিগোষ্ঠী এবং খুনিগোষ্ঠীর পাকিস্তানপন্থার রাজনীতির ধারকদের আড়াল করার উদ্দেশ্যেই মিথ্যাচার করে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপপ্রয়াস পেয়েছেন।

বিবৃতিতে দাবি করা হয়, জাসদ কখনই ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করেনি। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী গোষ্ঠীর সঙ্গে কর্নেল তাহের বা হাসানুল হক ইনু বা জাসদের কোনো পর্যায়ের নেতাকর্মীদের কোনো যোগাযোগ ছিল না। জাসদ বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের সুফলভোগীও নয়।

এতে উল্লেখ করা হয়, কারা খন্দকার মুশতাকসহ বঙ্গবন্ধুর খুনিদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল, খন্দকার মুশতাকের মন্ত্রিসভায় কারা সদস্য হয়েছিল, কারা মুশতাককে বৈধতা দিয়েছিল, কারা মুশতাকের সময় সামরিক-বেসামরিক প্রশাসনের বড় বড় পদে অধিষ্ঠিত ছিল, কারা খুনিদের রক্ষা করেছে, কারা খুনিদের পুরস্কৃত করেছে তা আজ সমগ্র জাতির সামনে প্রকাশিত।

বিবৃতিতে বলা হয়,  প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছেন, ‘দূরের না, আপন লোকরাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। আমার মা যাদের রেঁধে খাওয়াতেন তারাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে’ একথা তুলে ধরে ১৪ দলের অন্যতম শরিক জাসদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার এজাহার, এফআইআর, তদন্ত, চার্জশিট, সাক্ষীদের জেরা ও সওয়াল জবাব, চার্জের ওপর আদালতে যুক্তিতর্ক, আদালতের রায় ও রায়ের পর্যবেক্ষণের কোথাও জাসদ বা জাসদের কোনো নেতার নাম পর্যন্ত উচ্চারিত হয়নি। এটাই স্বাভাবিক ও সত্য।

বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আড়াল করার ঘৃণ্য রাজনীতি চিরতরে বন্ধ করতে জাসদ শুরু থেকেই বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড এবং এর পূর্বাপর সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে একটি জাতীয় তদন্ত কমিশন গঠন ও শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানিয়ে আসছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, যখন বিএনপি-জামায়াত ও তাদের রাজনৈতিক মিত্ররা এক হয়ে শেখ হাসিনাকে উৎখাতের জন্য মাঠে নেমেছে, যখন ষড়যন্ত্র চক্রান্তের রাজনীতি প্রতিহত করতে শেখ হাসিনা ১৪ ঐক্যকে জোরদার করাসহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে সম্প্রসারিত করতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছেন তখন শেখ সেলিম অতীতের মতোই ১৪ দলসহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির রাজনৈতিক ঐক্যের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে বিএনপি-জামায়াতকেই খুশি করার সুবিধাবাদী ষড়যন্ত্রের পথে হেঁটে চলেছেন।