সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনের অংশ হিসেবে গত ২৯শে জুলাই ঢাকার প্রবেশমুখে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে বিএনপি। সে কর্মসূচিতে দায়িত্ব পালনে নেতাদের অবহেলা ও নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছে বিএনপি।

এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে গতকাল মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণকে দায়িত্ব থেকে সাময়িকভাবে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর পদে সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি রাশেদ ইকবাল খানকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করা হয়েছে। 

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। অবশ্য বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়, কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণের অসুস্থতার কারণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়। তবে দলটির একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, ২৯ জুলাই ঢাকার প্রবেশমুখে অবস্থান কর্মসূচিতে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে শ্রাবণের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। 

দলীয় সূত্রে জানা যায়, শুধু কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণই নন, সেদিন যারা কর্মসূচি সফল করতে দায়িত্বে অবহেলা করেছেন এবং যাদের ভূমিকার কারণে অবস্থান কর্মসূচি ব্যর্থ হয়েছে, তাদের সবার বিরুদ্ধেই অনুসন্ধান চলছে। অনেকের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, অনেককে শেষবারের মতো সুযোগ দেওয়া হয়েছে আবার অনেককে কৌশলে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে সাইডলাইনে বসিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

দলীয় সূত্র আরও জানায়, ২৯ জুলাই রাজধানীর চারটি স্থানে দায়িত্বশীল নেতাদের ভূমিকা পুঙ্খানুপুঙ্খ যাচাই করছেন দলের হাইকমান্ড। তদন্ত টিম করে ওই দিনের ঘটনার সার্বিক প্রতিবেদন তৈরি করেন বলে সূত্র জানিয়েছে।

দলের নেতারা জানান, সে তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে দলের হাইকমান্ড সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছেন। অনেকের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হলেও অনেককে আগামীতে দলের পদ-পদবি কিংবা মনোনয়নের ক্ষেত্রে এসব আমলনামা সামনে আনা হবে বলে সতর্ক করেছেন দলের শীর্ষ নেতা।

পরবর্তী কর্মসূচিগুলোতে এমনটা না করতে শীর্ষ নেতাদের কড়া বার্তাও দেয়া হয়। আগামী শুক্রবার গণমিছিলে দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীদের দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে বৈঠকে আহ্বান জানান দলটির শীর্ষ নেতা।