Logo
×

Follow Us

রাজনীতি

সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে হবে: ফখরুল

Icon

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৬ আগস্ট ২০২৩, ১৭:৩১

সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে হবে: ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে সরকারকে হঠাতে না পারলে বিএনপিকে কচুকাটা করা হবে মন্তব্য করে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে এই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে হবে।

আজ বুধবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে ঠাকুরগাঁওয়ে জেলা বিএনপির আয়োজনে মির্জা রুহুল আমিন মিলনায়তনে দলটির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার রোগমুক্তির জন্য অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, সংসদ বিলুপ্ত করে নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে নির্বাচন করতে হবে। জনগণ যাদেরকে চায় তাদেরকে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দিতে হবে।

এসময়, খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে মুক্তির ব্যবস্থা করে উন্নত চিকিৎসার প্রদান করার জন্য সরকারকে হুঁশিয়ার করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে মুক্তি দিয়ে উন্নত চিকিৎসা প্রদান না করালে দেশের মানুষ সরকারকে ক্ষমতায় থাকতে দেবে না।

ফখরুল আরও বলেন, এ দেশের মানুষ জেগে উঠেছে। জেলা মহাসমাবেশগুলোতে তারা পরিষ্কার বলে দিয়েছে আপনারা আর ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। আর একতরফা নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না। এদেশের মানুষ তা আর করতে দেবে না। শুধু আমরা নই আন্তর্জাতিক মহল বলছে, অতীতের নির্বাচনগুলো সুষ্ঠ হয়নি। এবারের নির্বাচন যদি সকলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠ অবাধ না হয় তাহলে সেই নির্বাচন আমরা গ্রহণ করবো না। তাই আমরা সকল শক্তিতে বলিয়ান। আমরা মানুষের শক্তিতে বলিয়ান ও আন্তর্জাতিক বিশ্বেও বলিয়ান।

তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আমাদের সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে আমাদের দেশনেত্রীকে মুক্ত করা ও সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা এবং তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনাসহ ৪০ লক্ষ্য মানুষের নামে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে এই সরকারকে বাধ্য করতে হবে পদত্যাগ করতে। সংসদ বিলুপ্ত করে নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে নির্বাচন করতে হবে। জনগণ যাকে চায় তাদেরকে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দিতে হবে। তাই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সমস্যাগুলো দূর করে সবাইকে একসাথে সামনে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি। 

এছাড়াও শেখ মুজিবুর রহমানকে সরকারের লোকজনই হত্যা করেছে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, জিয়াউর রহমান নাকি শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার সাথে জড়িত! আসলে তো এই মহান নেতাকে হত্যা করে তার রক্তের উপর দিয়ে সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা খন্দকার মোস্তাকের নেতৃত্বে শপথ নিয়েছেন। সেদিন এই সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনীর সদস্যরা খন্দকার মোস্তাককে স্যালুট দিয়ে আনুগত্য ঘোষণা করেন। যারা হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ছিল তাদেরকে আপনারা মন্ত্রী এমপি বানিয়েছেন। সুতরাং এই মিথ্যা কথাগুলো বলে দৃষ্টি অন্যদিকে নিবেন না। কারণ তখন বিএনপি তৈরি হয়নি। জিয়াউর রহমান তখন ডেপুটি চিফ ছিলেন। তার কোনো নির্দেশ দেওয়ার ক্ষমতা ছিল না।

এদিকে, দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর বিচারের রায় সঠিক হয়নি বলেও প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মানদন্ড অনুযায়ী তার বিচার হয় নাই।

আলোচনা শেষে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তির জন্য দোয়া ও মোনাজাত করেন তারা। এসময় জেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈমুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আমিন সরকারসহ দলটির বিভিন্ন নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫