Logo
×

Follow Us

রাজনীতি

বিএনপি-জামায়াত দেশের মানুষকে ভিকটিম বানায়: শেখ পরশ

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ আগস্ট ২০২৩, ১৮:৩৬

বিএনপি-জামায়াত দেশের মানুষকে ভিকটিম বানায়: শেখ পরশ

শেখ ফজলে শামস পরশ। ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ বিএনপির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দেশের জনগণ উল্লেখ করে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, এ কারণে বারবার বিএনপি-জামায়াত এ দেশের মানুষকে ভিকটিম বানায়, তাদের ওপরেই আঘাত করে, অগ্নিসংযোগ করে সাধারণ মানুষকে হত্যা করে। সাধারণ মানুষকে হত্যা ও ভয়ভীতি দেখিয়ে তারা দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র করতে চায়, আফগানিস্তান, পাকিস্তান বানাতে চায়।

আজ বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিএনপি-জামায়াত আমলে দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে যুবলীগের বিক্ষোভ সমাবেশ ও কালো পতাকা প্রদর্শন কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন তিনি।

শেখ পরশ বলেন, বিএনপির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী এ দেশের জনগণ। কারণ তারা একাত্তরে পরাজিত হয়েছিল এ দেশের জনগণের কাছে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মুক্তিকামী জনগণ যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিল। এ কারণে তাদের আক্রোশ এ দেশের জনগণের ওপর। তারা শুধু ১৫ আগস্টে জন্মদিন পালন নয়, প্রতিদিনই জন্মদিন পালন করবে, উৎসব করবে। এটাই বিএনপির আসল চরিত্র।

যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, ১৫ আগস্টের মর্মন্তুদ হত্যাকাণ্ডের পেছনে ষড়যন্ত্র ছিল-আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃত করা, বাঙালির পরিচয় বিনষ্ট করা, ষড়যন্ত্র ছিল আমাদের স্বাধীনতার মূলমন্ত্রগুলো ধ্বংস করা। তারা আমাদের গণতন্ত্র, অসাম্প্রদায়িক ধর্ম নিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র, অর্থনীতির স্তম্ভগুলো ধূলিসাৎ করে দিয়েছিল। ১৫ আগস্টের মূল মাস্টারমাইন্ড জিয়াউর রহমান ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য হত্যার মাধ্যমে বিএনপি প্রতিষ্ঠা করে। সেই হত্যার ধারাবাহিকতা এখনও চলমান। রাতের অন্ধকারে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতিকে যারা সপরিবারে হত্যা করে, নারী ও শিশুদেরকে যারা রক্ষা দেয় নাই, তারা আবার বাংলাদেশের মাটিতে রাজনৈতিক দল করে গণতন্ত্রের কথা বলে, মানবাধিকারের কথা বলে।

শেখ পরশ বলেন, ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট তারা দেশের ৬৩টি জেলায় একযোগে বোমা হামলা করলো, আঘাত করলো প্রেস ক্লাবে, কারণ তারা ২০০১-২০০৫ সাল পর্যন্ত যে পরিমাণ অত্যাচার, খুন, হত্যা করেছে, আওয়ামী লীগের ২৫ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। তাদের এই সকল হত্যাকাণ্ড, সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার, সাধারণ মানুষের আর্তনাদ যেন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ না করে এই কারণেই প্রেস ক্লাবে বোমা হামলা চালায়। তারা আঘাত করলো বিচারালয়ে, যেন বিচারক এবং সাধারণ মানুষ ভয় পায়। ভয়-ভীতি প্রদর্শন, সন্ত্রাস, ষড়যন্ত্র এগুলোই বিএনপির রাজনীতির অস্ত্র, রাজনৈতিক কৌশল। এর বাইরে তারা আর কোনও কৌশল জানে না।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল, প্রেসিডিয়াম সদস্য মঞ্জুর আলম শাহীন, তাজউদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, সংগঠনিক সম্পাদক কাজী মো. মাজহারুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী প্রমুখ।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫